ইসলামী গবেষকরা বলেন, ‘‘ ইনজেনশনে যদি এনার্জেটিক কোনো কিছু থাকে অর্থাৎ যে ইনজেকশনটা গ্রহণ করা হচ্ছে সেটা যদি শক্তিবর্ধক হয়ে থাকে তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে ইনজেকশনে যদি ফুড সাপ্লিমেন্ট বা ফুড সাপ্লিমেন্ট ওরিয়েন্টেড কিছু থাকে তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে। তৃতীয়ত হচ্ছে, যে ইনজেকশনটি গ্রহণ করা হবে তার মধ্যে যদি পুষ্টিগুণ থাকে তাহলেও রোজা ভঙ্গ হবে। চতুর্থত হচ্ছে, যদি কোনো রোজাদার রোজা থাকা অবস্থায় ইনজেকশন গ্রহণ করেন এমন কোনো জায়গায় সেখান থেকে ওষুধের অংশ যদি খাদ্যনালী পর্যন্ত পৌঁছায় তাহলেও রোজা ভঙ্গ হবে। এই চারটি শর্তের মধ্যে যদি না পরে তাহলে রোজা রেখে ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙবে না।’’
রোজা রেখে যে ধরনের ইনজেকশন নেওয়া যাবে
১.
২. অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন
৩. ভ্যাকসিন জাতীয় ইনজেকশন
আরো পড়ুন:
নিরাপদে রোজা রাখতে ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়
রোজা রেখে ইনহেলার ব্যবহার করা যাবে?
সতর্কতা: লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘‘ একই জায়গায় বারবার ইনজেকশন দিলে চামড়ার পুরুত্ব কমে বা বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে ইনসুলিনের কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এবং ব্যথা বাড়তে পারে। ইনজেকশন দেওয়ার সময় টেনে ধরা চামড়া ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে। ইনজেকশন প্রয়োগের পরে ম্যাসাজ রকরা যাবে না।’’
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।
হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।
আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’
গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’
আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই।