তিন ঘণ্টা পর মায়ের কোলে চুরি হওয়া শিশুটি
Published: 16th, March 2025 GMT
অপরিচিত এক নারীর সঙ্গে শিশুসন্তানকে রুটি ও কলা কিনতে বাইরে দোকানে পাঠান মা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও সন্তান না ফেরায় ওই নারী হাসপাতালে কান্নাকাটি শুরু করেন। জানতে পেরে ঘটনাটি পুলিশকে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ এসে ঘটনা তদন্ত করতে থাকে। এর মধ্যে তিন ঘণ্টা পর এক ব্যক্তির সহায়তায় চুরি হওয়া শিশুটি মায়ের কোলে ফিরে আসে।
আজ রোববার সকালে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। চুরি হওয়া শিশুটির নাম লাইজু আক্তার (৯)। জেলার শিবালয় উপজেলার দড়িকয়ড়া গ্রামের কৃষক আবদুল কাইয়ুমের মেয়ে লাইজু স্থানীয় কয়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
হাসপাতাল ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, অসুস্থতার কারণে তিন দিন আগে এক বছরের ছোট সন্তানকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন মা শিল্পী বেগম ও কাইয়ুম দম্পতি। আজ ভোরে পারিবারিক কাজে বাড়িতে চলে যান কৃষক কাইয়ুম। সকালে বড় সন্তান লাইজুর ক্ষুধা লাগায় ছোট সন্তানকে একা হাসপাতালের শয্যায় রেখে খাবার কিনতে বাইরে যেতে পারেননি মা শিল্পী। সকাল সাড়ে আটটার দিকে বোরকা পরিহিত অপরিচিত এক নারী তাঁকে বলেন, তিনি কলা ও রুটি এনে দেবেন। পরে তাঁকে ৫০০ টাকার একটি নোট দিয়ে কলা ও রুটি কিনতে দিলে ওই নারী শিশু লাইজুকে তাঁর সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। পরে শিশুটিকে তাঁর সঙ্গে পাঠানো হয়। এরপর দীর্ঘ তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও শিশুসন্তানকে নিয়ে ওই নারী হাসপাতালে না ফেরায় কান্নাকাটি শুরু করতে থাকেন শিল্পী বেগম। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেব দুলাল বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে গিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শিশুটিকে উদ্ধারের প্রাথমিক কাজ শুরু করা হয়। পরে হাসপাতাল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরের এক দোকানি শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
ফুটপাতের দোকানদার হাবিবুর রহমান বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে বোরকা পরিহিত এক নারী তাঁর দোকানে যান। শিশুটিকে নিজের সন্তান পরিচয় দিয়ে কিছুক্ষণ দেখে রাখার কথা বলে ওই নারী সেখান থেকে চলে যান। প্রায় আধা ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ওই নারী না আসায় শিশুটি কান্না শুরু করে। পরে শিশুটির কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর দোকানদার হাবিবুর তাকে হাসপাতালে তার মায়ের কাছে নিয়ে আসেন। মেয়েকে ফিরে পেয়ে শান্তির নিশ্বাস ছাড়েন শিল্পী বেগম।
শিল্পী বেগম বলেন, ‘হাসপাতালে দুই বাচ্চা নিয়ে আমি একা আছিলাম। বড় মেয়ে লাইজুর খিদা (ক্ষুধা) লাগায় ছোট বাচ্চারে হাসপাতালের বেডে রাইখ্যা বাইরে যাইতে পারি নাই। এক মহিলা আইস্যা কইলো আমারে ট্যাহা দেন কলা-রুটি আইন্যা দেই। পরে ট্যাহা ও মেয়েরে সঙ্গে নিয়্যা যায়। আমি তো আর বুঝতে পারি নাই, মেয়েরে চুরি কইর্যা নিয়্যা ওই মহিলা পালাইব।’
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক বদরুল আলম চৌধুরী বলেন, অপরিচিত কারও কিছু খাওয়া ও ছোট শিশুসহ জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে রাখার বিষয়ে হাসপাতালে আসা ও ভর্তি থাকা রোগী এবং রোগীর স্বজনদের প্রতিনিয়ত সতর্ক করা হয়। তবু কেউ কেউ বোকার মতো ব্যবহার করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আমান উল্লাহ বলেন, শিশুকে চুরি করা বোরকা পরিহিত ওই নারীকে শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওই ন র
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে