নর্থ মেসিডোনিয়ার নৈশক্লাবে আগুন, নিহত ৫৯
Published: 16th, March 2025 GMT
ইউরোপের বলকান অঞ্চলের দেশ নর্থ মেসিডোনিয়ার একটি নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত এবং ১৫৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাজধানী শহর স্কোপজে থেকে প্রায় এক শ কিলোমিটার পূর্বের কোচানি শহরে ক্লাবটি অবস্থিত। নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেন, জনপ্রিয় হিপ হপ ব্যান্ড ডিএনকের কনসার্টের জন্য নৈশক্লাবটিতে দেড় হাজারের মতো মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পাইরোকাইনেটিক ডিভাইস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। কনসার্ট বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দর্শকের দৃষ্টিনন্দন অভিজ্ঞতার জন্য এ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এগুলো আগুনের স্ফুলিঙ্গ তৈরি ও ছড়িয়ে দিতে সক্ষম।
প্রধানমন্ত্রী হৃসতিজান মিকোস্কি এই ঘটনাকে দেশের জন্য কঠিন এবং অত্যন্ত দুঃখের দিন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, অনেক তরুণ প্রাণ হারিয়েছেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যান্স তোসকোভস্কি বলেন, এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ক্লাবমালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলের ফুটেজে দেখা গেছে ব্যান্ড দলটি মঞ্চে গান পরিবেশনের সময় স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকেই হঠাৎ আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
অপর দিকে বিবিসির হাতে আসা ভিডিও যাচাই করে দেখা গেছে, লোকজন সিলিংয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এতে দেখা গেছে, আগুন লাগার পরেও ক্লাবটি দর্শকে পরিপূর্ণ ছিল। তাঁরা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করে আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা দেখছিলেন।
কোচানি হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন, পরিচয়পত্রের অভাবে আহত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে নিহত ব্যক্তিদের বয়স ১৪ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মারজিয়া তাসেভা (২০) নামের একজন তরুণী বেসরকারি ফাইভ টিভিকে বলেন, আগুনের খবর শুনে লোকজন তাড়াহুড়া করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি মাটিতে পড়ে পদদলিত হন। পরে সেখান থেকে বের হতে সক্ষম হন।
অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে মারজিয়ার ২৫ বছর বয়সী বোন নিখোঁজ। তাঁকে খোঁজাখুজি করেও স্থানীয় কোনো হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানী স্কোপজের কোনো হাসপাতালে পাঠানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল