পাকিস্তানের পেস বোলিং অলরাউন্ডার আমের জামালকে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ‘৮০৪’ লেখায় তাকে এই জরিমানা করা হয়েছে। 

আমের অনুশীলনের সময় ব্যবহৃত হ্যাটে ‘৮০৪’ লিখেছিলেন। এটি পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল পিটিআই-এর নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কয়েদি নম্বর। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন ইমরান খান। 

আমের অনুশীলন জার্সি পরিহিত অবস্থায় ওই হ্যাট পরেছিলেন। অনুশীলনটি আইসিসি স্বীকৃত কোন ম্যাচের আগের নয়। যে কারণে আইসিসির ধারায় তাকে সাজা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে পিসিবির আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে। 

পিসিবির আচরণবিধির ২.

২৩ ধারা অনুযায়ী, কোন ক্রিকেটার বোর্ড, বোর্ডের কর্মকর্তা, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান, আইসিসি বা এর কর্মকর্তা ও পৃষ্ঠপোষক, খেলোয়াড়, আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারিসহ ম্যাচ সম্পর্কিত কাউকে নিয়ে জনসাধারণে সমালোচনার জন্ম দেয় এমন কোন মন্তব্য বা বার্তা দিতে পারবে না।  

ওই ধারার মূল বার্তা হলো- কোন ক্রিকেটার সংবেদনশীল, সাম্প্রদায়িক, বর্ণবাদী, ধর্মীয় গোমাড়িপূর্ণ বা রাজনৈতিক বক্তব্য বা বার্তা দিতে পারবেন না। যে কারণে আমেরকে জরিমানা করা হয়েছে। এর আগেও তিনি কারফিউ এবং কিছু নিয়ম ভেঙে জরিমানার শিকার হয়েছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইমর ন খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন আচরণবিধি অনুসারে মাসুদুজ্জামানের ব্যানার-পোস্টার অপসারণ

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে নারায়নগঞ্জ- ৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনি এলাকায় বিদ্যমান সকল প্রকার নির্বাচনি প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের পদক্ষেপ নিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপনে বলেছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উক্ত নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীগণের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনি ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী/ব্যক্তিগণকে তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা নির্বাচন আচরণ বিধির প্রতি পূর্ণ সম্মান ও সমর্থন জানিয়ে মাসুদুজ্জামানের যাবতীয় প্রচারণামূলক ব্যানার ফেস্টুন নিজস্ব খরচে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সকল স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এখন থেকে নির্বাচন বিধি অনুযায়ী ব্যানার-ফেস্টুন ব্যবহার করা হবে। উল্লেখ্য যে, আজকের পর থেকে মাসুদুজ্জামানের নামে ভিন্ন কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিয়মবহির্ভূত ব্যানার পোস্টার প্রিন্ট করে প্রদর্শন করলে তার দায়ভার মাসুদুজ্জামানের ওপর বর্তাবে না। বরং নির্দিষ্ট ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠানই তার দায় বহন করবেন।

এ প্রসঙ্গে মাসুদুজ্জামান বলেন “আমার দল ও আমি আইনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রেখে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করি। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে নির্বাচন আচরণবিধির প্রতিটি দিক আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করছি এবং এগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য সতর্ক আছি।

কারণ, আমরা বিশ্বাস করি যে একটি জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য এবং সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ মানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসকল নির্দেশনা পালন করলে জনগণের আস্থা বজায় থাকবে এবং নাগরিকদের জীবনে বাড়তি বিড়ম্বনা সৃষ্টি হবে না।”

নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঘোষিত নির্বাচন আচরণ বিধি মেনে চলার জন্য মাসুদুজ্জামান প্রতিশ্রুতিশীল ভুমিকা পালন করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় জামায়াতের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিগুলো স্থগিত
  • নিজের হাতে নিজের পোস্টার ছিড়লেন শিশির মনির
  • নির্বাচন আচরণবিধি অনুসারে মাসুদুজ্জামানের ব্যানার-পোস্টার অপসারণ
  • ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে জনপ্রশাসনকে চিঠি পাঠালো ইসি