সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি এবং তাদের তিন সন্তান লাবিবা নাঈম খান, আদিভা নাঈম খান ও যূলিকা নাঈম খানের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি ২৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৪ টাকা জমা রয়েছে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো.

জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এসব ব্যাংক হিসাবে বিভিন্ন সময়ে মোট জমা ছিল ৩৮৫ কোটি ৭৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩৯ টাকা এবং বিভিন্ন সময় উত্তোলন করা হয় ৩৭৯ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৭৫ টাকা। দুদকের আবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এদিন এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক আফরোজা হক খান।

আবেদনে বলা হয়েছে, নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্থ অর্জনপূর্বক ওই অর্থের উৎস আড়াল করার জন্য তার, তার স্ত্রী ও তার তিন মেয়ের নামীয় ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা, ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন করাসহ অবৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে আনয়ন করে মানিলন্ডারিং করারসহ নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য টিম গঠন করা হয়। অনুসন্ধানকালে পাওয়া তথ্য ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নাঈমুল ইসলাম খান, তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি, তাদের তিন সন্তান লাবিবা নাঈম খান, আদিভা নাঈম খান, যূলিকা নাঈম খান এবং তার নামীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ১৬টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সর্বমোট ১৬৩টি হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য রয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাক্তিগণ একাউন্টে রক্ষিত অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির পূর্বে ব্যাংক হিসাব সমূহে রক্ষিত অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে অনুসন্ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি এবং তাদের তিন সন্তান লাবিবা নাঈম খান, আদিভা নাঈম খান, যূলিকা নাঈম খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইডেন কলেজের পুকুরে ডুবে ছাত্রীর মৃত্যু

রাজধানীর ইডেন কলেজের আবাসিক হোস্টেলের পুকুরে ডুবে সানজিদা খাতুন রুপা (১৮) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সানজিদা অগ্রণী বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি কমার্স বিভাগে পড়তেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

ইডেন কলেজের খোদেজা খাতুন ছাত্রী নিবাসের অফিস সহকারী রিফাত আরা বলেন, কলেজে মোহনা নামের এক শিক্ষার্থীর কাছে সানজিদা এসেছিলেন। পরে পুকুরপাড়ে গিয়ে পানিতে পা ভেজাতে গিয়ে হঠাৎ করে পড়ে যান তিনি। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে মোহনাও পানিতে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। আশপাশের লোকজনের সহায়তায় মোহনাকে জীবিত এবং পরে সানজিদাকে টেনে তুলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়।

সানজিদার বড় ভাই তানভীর ইসলাম বলেন, সকালবেলা বাসা থেকে সে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে যাবে বলে বের হয়েছিল। পরে খবর পাই, ইডেন কলেজের পুকুরে ডুবে মারা গেছে। ঢাকা মেডিকেলে এসে মৃত অবস্থায় পাই।

সানজিদার বাড়ি পুরান ঢাকার চকবাজারের ১২ নম্বর চম্পাকলীতে। তাঁর বাবার নাম সাইজ উদ্দিন। এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সানজিদা ছিলেন ছোট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ