৩৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়, সংযুক্তিতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. তাছবীর হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন গলাচিপা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাছিম রেজা। 

অ্যাসোসিয়েনের পক্ষ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ ) রাজধানীর ইস্কাটনের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ভবনে (বিয়ামে) সদস্যেদের উপস্থিতিতে এই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

এই কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কাসপিয়া তাসরিন, কোষাধ্যক্ষ নান্দাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.

ফয়জুর রহমান। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত মো. কায়েসুর রহমানকে যুগ্ম সম্পাদক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে পাংশায় কর্মরত মো. আমিনুল ইসলামকে দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে।

কমিটিকে ‘আংশিক কমিটি’ বলে বর্ণনা করে সংগঠনটির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অতি শিগগির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।

 

ঢাকা/মামুন/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাইব্যুনালে গুমের মামলা তদন্ত, বিচারে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক গ্রুপ: চিফ প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হওয়া গুমের মামলার তদন্তের পাশাপাশি বিচারে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা করবে। আজ সোমবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (ডব্লিউজিইআইডি)-এর ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। এই দুজন ও ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খানসহ জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি আজ দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পরে এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের গুমের কেসগুলোকে কীভাবে আমরা ডিল করছি এবং এই কেসের যে তদন্ত, বিচার কোন পর্যায়ে আছে; কী কী চ্যালেঞ্জ আমরা ফেস করছি, এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য কী কী ধরনের সাপোর্ট দরকার, তাঁরা কী ধরনের সাপোর্ট আমাদের দিতে পারেন, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বিচার অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা করতে এই কমিটি প্রস্তুত আছে এবং তাঁরা এটা করবেন।’

গুমের শিকার, এমন ভুক্তভোগীরা সাক্ষী দিতে এসে যাতে বিপদে না পড়েন, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তাঁরা বলেছেন, যত ধরনের সাহায্য লাগবে, তাঁরা করবেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, বিশেষ করে সাক্ষী সুরক্ষার ব্যাপারটা। এ ব্যাপারে আইন আছে, কিন্তু তা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক ভুক্তভোগী আছেন, তাঁদের হয়তো এমন নিরাপত্তার সংকট আছে, তাঁদের হয়তো এক জায়গা থেকে সরিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হতে পারে। সেটা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে করা কঠিন। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের যদি সহযোগিতা পাওয়া যায়, তাহলে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের জন্য কাজ করা সহজ হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ