এআই চ্যাটবটের মাধ্যমে ক্রোমের পাসওয়ার্ড চুরি করতে পারে হ্যাকাররা
Published: 19th, March 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির চ্যাটবটগুলোর নিরাপত্তা দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির নতুন এক পদ্ধতির সন্ধান পেয়েছে সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান কাটো নেটওয়ার্কস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সহজেই ক্রোম ব্রাউজারে সংরক্ষণ করা পাসওয়ার্ড ও আর্থিক তথ্য চুরি করা সম্ভব।
কাটো নেটওয়ার্কস তাদের কাটো সিটিআরএল থ্রেট প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এআই মডেলের নিরাপত্তাব্যবস্থা ফাঁকি দিতে সক্ষম একটি কার্যকর ইনফোস্টিলার ম্যালওয়্যার তৈরি করেছেন এক গবেষক। এ পদ্ধতিতে নতুন ম্যালওয়্যার তৈরি করে সহজেই ক্রোম ব্রাউজারে সংরক্ষণ করা পাসওয়ার্ড, আর্থিক লেনদেনসংক্রান্ত তথ্য ও অন্যান্য সংবেদনশীল তথ্য চুরি করা সম্ভব। গবেষণায় দেখা গেছে, ডিপসিক আরওয়ান ও ভি থ্রি, মাইক্রোসফট কোপাইলট এবং ওপেনএআই এর জিপিটি-৪ও মডেলকে নির্দিষ্টভাবে পরিচালিত করলে হ্যাকারের নির্দেশনা অনুসারে কাজ সম্পাদন করতে পারে। গবেষকের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও তিনি সফলভাবে এআইনির্ভর কোড ব্যবহার করে ম্যালওয়্যার তৈরি করতে পেরেছেন।
কাটো নেটওয়ার্কস জানিয়েছে, গবেষণায় ইমার্সিভ ওয়ার্ল্ড নামে একটি নতুন জেলব্রেক কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। এআই চ্যাটবটের প্রচলিত হ্যাকিং পদ্ধতিগুলো অকার্যকর হলেও পরোক্ষ উপায়ে কৌশলগত দুর্বলতাগুলো কাজে লাগানো সম্ভব। ডিপসিক মডেলের নিরাপত্তাত্রুটি আগে থেকেই আলোচনায় ছিল, তবে মাইক্রোসফট কোপাইলট ও ওপেনএআই এর জিপিটি-৪ও–এর মতো উন্নত নিরাপত্তাবেষ্টিত চ্যাটবটও এই কৌশলের মাধ্যমে নিরাপত্তা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
কাটো নেটওয়ার্কসের প্রধান নিরাপত্তা কৌশলবিদ এতাই মাওর বলেন, ‘আমাদের নতুন এলএলএম জেলব্রেক কৌশলটি এআই নিরাপত্তাব্যবস্থায় শনাক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি।’ প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গবেষণার ফলাফল ওপেনএআই, মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ডিপসিক এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ওপেনএআই ও মাইক্রোসফট বিষয়টি স্বীকার করেছে। গুগল বিষয়টি স্বীকার করলেও গবেষকের দেওয়া কোড পর্যালোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
সূত্র: জেডডিনেট
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন টওয
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।