আসছে ঈদুল ফিতরে মুক্তির অপেক্ষায় আছে 'বরবাদ', 'দাগি', 'জংলি', 'জ্বীন' ৩ সিনেমা। মুক্তিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সিনেমাগুলোর টিজার, ট্রেলার প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে সেসবের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুঁজি করা হয়েছে রক্তারক্তি, হানাহানি, হিংস্রতা। ‘জ্বীন-৩’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল। নাটকে এখন আর তাকে আগের মতো দেখা না গেলেও সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
ঈদকে কেন্দ্র করে ভায়োলেন্সের এই ভিড়ে যেন দু-দণ্ড উৎসবের আমেজ ছড়াচ্ছে ‘জ্বীন-৩’ সিনেমার ‘কন্যা’ গান ও টিজার। পথে পথে হাসি মেখে, ফুলেরা ঘ্রাণ ছড়াল/উড়ে উড়ে কুহু সুরে, পাখিরা গান শোনাল— এমন মিষ্টি কথায় ‘কন্যা’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা গেছে রঙের আধিক্য। দৃশ্যায়নে উৎসবের ছাপ যেন জাঁকজমক করে তুলেছে চারপাশ। গানটি প্রকাশের পর প্রশংসায় মেতেছেন সবাই। এই সকলের মধ্যে সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে আছেন শোবিজ তারকারাও। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকবি রবিউল ইসলাম জীবন। ইমরান মাহমুদুলের সুর ও সংগীতে এতে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান ও কণা। গানটি অনলাইনে মুক্তির পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে আছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে গানটির সঙ্গে সাধারণ দর্শকরা নেচে নানা ভিডিও বানাচ্ছে। গানটিতে এক ভিন্ন অবতারে হাজির হয়েছেন অভিনেতা সজল। হরর সিনেমা হলেও গানটির প্রতিটি সিনে চোখে, মুখে তার রোমান্টিকতা প্রকাশ পেয়েছে। যেনো গানটির কথা ও পরিবেশের সঙ্গে একেবারে মিলেমিশে একাকার হয়ে ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় নাচেও কম যাননি এই অভিনেতা। নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমানতালে নেচে দর্শকদের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। অল্প সময়েই গানটি নিয়ে সবার এত ভালোবাসা পেয়ে বেশ আপ্লুত সজল।
আরো পড়ুন:
‘সিয়াম, বুবলীর রসায়ন পুরাই মধু মধু’
কার বায়োপিকে অভিনয় করতে চান শাকিব খান
এই অভিনেতা বলেন, "আসলে এত অল্প সময়ে দর্শকদের এতো এতো ভালোবাসা পাবো গানটি দিয়ে তা বুঝতে পারিনি। আমাদের কষ্ট তখনই সার্থক হবে যখন ছবিটি সবাই মিলে দলবলে হলে গিয়ে ছবিটি দেখে ভালো-মন্দ মতামত দিবেন।
" প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মুক্তি পায় ‘জ্বীন’। সেটির সাফল্যে পরের বছর আসে এর দ্বিতীয় কিস্তি ‘মোনা : জ্বীন-২’। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদুল ফিতরে আসছে ‘জ্বীন ৩’। এটি পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান রোমান।
ঢাকা/রাহাত/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’