নারীসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার, বিজিবি সদস্য নিখোঁজ
Published: 23rd, March 2025 GMT
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্রে নৌকাডুবিতে নারীসহ চার রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবির এক সদস্যসহ আরো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের নাম বিল্লাল হোসেন। তিনি শাহপরীর দ্বীপ বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়িতে সিপাহি পদে কর্মরত ছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম উপকূল এলাকা থেকে ভেসে আসা রোহিঙ্গাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
টেকনাফে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকা ডুবি: এক নারীর মরদেহ উদ্ধার
রোহিঙ্গা শিবিরে জাতিসংঘ মহাসচিব
সংকটের চূড়ান্ত সমাধান মিয়ানমারেই খুঁজে বের করতে হবে
এর আগে, গত শুক্রবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে টেকনাফে নৌকাডুবির ঘটনায় নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করে বিজিবি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাডুবির ঘটনায় চার রোহিঙ্গার মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিজিবির সদস্যসহ আরো কিছু রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের বিষয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।”
স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া এলাকার সাগরে ভাসতে দেখেন বিজিবির সদস্যরা। পরে তারা স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের মালিকানাধীন মাছ ধরার নৌকায় শাকের মাঝির নেতৃত্বে রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাটি থামানোর সংকেত দেন সমুদ্রে। পরে ওই নৌকাতে ওঠেন বিজিবি সদস্যরা।
এসময় উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে নারী-শিশুসহ ২৫ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলে ও বিজিবি। পরে নিখোঁজ বিজিবির সদস্যসহ রোহিঙ্গাদের সন্ধানে সাগরে তল্লাশি চালানো হয়। ডুবে যাওয়া নৌকায় অর্ধশতাধিক মানুষ ছিল বলে জানিয়েছেন উদ্ধার রোহিঙ্গারা।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
তিনি আরো বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় উদ্ধার অভিযানে যান এবং শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। উদ্ধার অভিযানে যাওয়া একজন বিজিবি সদস্য সমুদ্রে নিখোঁজ হন। নৌকাটি উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযান চলছে। উদ্ধার রোহিঙ্গারা বিজিবির হেফাজতে আছেন।”
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ হপর র দ ব প ঘটন য় সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।
সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।
নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত