কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পরিস্থিতি যেন সংঘাতময় না হয়: মোহাম্মদ তাহের
Published: 23rd, March 2025 GMT
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের বিষয়টিকে ঘিরে গত দুই দিনে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, এ পরিস্থিতি আমাদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্বেগজনক।
আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর অবৈধভাবে শাসনক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল। এ সময়ে তারা অকল্পনীয় দুর্নীতি ও অর্থ পাচার করেছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজনীতি—সবকিছু তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এ মুহূর্তে সবচেয়ে অগ্রাধিকার হওয়া উচিত আওয়ামী লীগের গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও লুটপাটের বিচার হওয়া। আমরা মনে করি, এটাই অগ্রাধিকার পাওয়া দরকার। এরপর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে পারবে কি না বা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে কি না, সেই প্রশ্ন আসে।
আমরা মনে করি, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পরিস্থিতি যেন কোনোভাবে সংঘাতময় না হয়। সে জন্য জাতিকে সজাগ ও সতর্ক থাকা উচিত। এ ব্যাপারে দেশবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই।
একই সঙ্গে আমরা মনে করি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সংস্কার যথাশিগগিরই সম্ভব সম্পন্ন করা এবং দেশকে নির্বাচনমুখী করা।
সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের: নায়েবে আমির, জামায়াতে ইসলামী
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।
পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।
ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।