পরপর দুই দিন সুন্দরবনের আলাদা দুটি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ির টেপার বিলে গতকাল শনিবার সকালে আগুন লাগে। ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে না আসতে আজ রোববার সকালে পাশের তেইশের ছিলা এলাকায় আগুন লেগেছে। গতকালের তুলনায় এই আগুনের তীব্রতা বেশি এবং দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

এ নিয়ে গত ২৩ বছরে সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে ২৭ বার। যার সব কটিই পূর্ব সুন্দরবন এলাকায় এবং লোকালয়-সংলগ্ন ভোলা নদীর পাশের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জের বনাঞ্চলে।

এসব আগুনের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, বেশির ভাগ আগুন লেগেছে জেলে-মৌয়ালদের অসাবধানতায়। যদিও এ নিয়ে বনজীবীদের দ্বিমত আছে।

আরও পড়ুনসুন্দরবনে আগুন, পানির উৎস পেতে বেগ২২ মার্চ ২০২৫

এর আগে গত বছরের ৪ মে ভোলা নদী থেকে সোয়া দুই কিলোমিটার দূরে আমোরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির লতিফের ছিলা এলাকায় আগুন লাগে। ওই আগুনে প্রায় পাঁচ একর বনভূমির গাছপালা পুড়ে যায়। সব মিলিয়ে ২০০২ সাল থেকে গতকালের আগপর্যন্ত ২৫টি অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত করেছে পূর্ব বন বিভাগ।

তদন্ত প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২৫টি আগুনের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২৫ লাখ টাকার বেশি। অগ্নিকাণ্ডে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ক্ষতি ধরা হয়েছে আনুমানিক হিসাবে। ফলে হিসাবে যে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র আসেনি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

অধিকাংশ আগুনের সূত্রপাতের কারণ হিসেবে জেলে-মৌয়ালদের অসাবধানতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ জেলে-মৌয়ালদের বিড়ি-সিগারেট বা মৌমাছি তাড়াতে জ্বালানো মশাল থেকেই সবচেয়ে বেশি আগুনের সূত্রপাত হয়।

সুন্দরবনে লাগা আগুন নেভানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন দরবন এল ক য় র ঘটন তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ছুটে গিয়ে দেখি, একটি হরিণ ঝুলছে শিকারির ফাঁদে’
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী