বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ইনকিলাব মঞ্চের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে আহ্বায়ক হয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের জাহিদ হাসান জয় এবং সদস্য সচিব হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের মেহেদী হাসান।

রবিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটিতে আরো আছেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক নাঈম ইসলাম, যুগ্ম-সদস্য সচিব বাইজিদ বোস্তামী, সদস্য মো.

নেজাজ ইসলাম, আব্দুল মজিদ, মো. মুসতাকিম মিয়া, মো. সানোয়ার ইসলাম, জাকারিয়া ইসলাম, তামিম ইকবাল, মো. সাকিব মিয়া, মো. মাহবুব আলী, মো. নাদিম মিয়া, জাহিদ ইসলাম, জিসান ইসলাম ও সালেহ উদ্দীন।

নবনির্বাচিত আহ্বায়ক জাহিদ হাসান জয় বলেন, “ইনকিলাব মঞ্চ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এটি একটি সামাজিক সংগঠন। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো- জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধারণ করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে তথাকথিত শাহবাগী ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে পাশে দাঁড়ানো।”

ইনকিলাব মঞ্চ একটি সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম, যা সমস্ত আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে।

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ