রমজানে অধীনস্থদের সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন
Published: 24th, March 2025 GMT
রমজান মাস সহমর্মিতার মাস। রাসুল (সা.) এ-মাসে বন্দীদের মুক্তি দিতেন এবং সাহায্যপ্রার্থীকে পর্যাপ্ত দান করতেন। (বাইহাকি, শুয়াবুল ঈমান, হাদিস: ৩,৩৫৭)
রোজার দীর্ঘ উপবাসের কারণে শারীরিক অবসাদ, ক্লান্তিবোধ ও কিছুটা কষ্ট প্রায় সবার হয়ে থাকে। এই মাসে নিজের অধীনস্থ ও কর্মচারীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো মুমিন বান্দার দায়িত্ব ও কর্তব্য। হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের পার্থিব কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার কষ্ট দূর করে দেবেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ৭,০২৮)
রমজানে অফিসের কর্মচারী, গৃহকর্মীরাও রোজা রেখে থাকেন। তারা আমাদের সঙ্গেই থাকেন। সুতরাং তাদের প্রতিও কিছু দায়িত্ব চলে আসে। যেমন তাদের কাজে সহযোগিতা করা। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এ মাসে (রমজান মাসে) নিজের অধীনস্থদের কাজের চাপ কমিয়ে দেয়, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। (বাইহাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস: ৩,৩৩৬; সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস: ১,৮৮৭)
আরও পড়ুনফিতরা কীভাবে হিসাব করব১১ মার্চ ২০২৫কীভাবে কাজ হালকা করবেন
কাজ কমিয়ে দেওয়া: যে কাজটা সে একা করবে তাতে নিজেও হাত লাগানো। না হলেও চলে এমন কাজের জন্য তাদের চাপ না দেওয়া। রোজার সময় তার নির্ধারিত দায়িত্ব থেকে কিছু কম সেবা গ্রহণ করেও তার অনুগ্রহ করা যেতে পারে।
পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দেওয়া: যদি কাজের চাপ এত বেশি থাকে যে, আপনি নিজেও প্রচুর পরিশ্রম করছেন। তাহলে অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজানে কর্মীদের পারিশ্রমিক কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া যায়। এটাও এক ধরনের সহানুভূতি।
কাজের সময় কমানো: ‘কাজের সময়’ কমিয়ে দিয়ে তাদের সহযোগিতা করা যেতে পারে। এভাবেও হতে পারে, সময় কমিয়ে পূর্ণ উদ্যমে কাজ করানোর ব্যবস্থা করা। এতে কর্মচারীদেরও একটু সহযোগিতা হবে আবার কর্মকর্তারও কাজের ঘাটতি হবে না।
কিন্তু কর্মচারীর জন্য রোজার কারণ দেখিয়ে কাজে অলসতা ও অবহেলা করা কোনোক্রমেই উচিত হবে না। আবার কাজের বাড়তি চাপের কারণে কর্মচারী যদি রোজা রাখা ছেড়ে দেয়, এটাও কর্তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে না। তবে হ্যাঁ, কর্মচারী যদি কষ্ট করে নিজের দায়িত্ব আদায় করে তবে সে এর জন্য অধিক সওয়াবের অধিকারী হবেন।
আরও পড়ুনঈদ যেভাবে এল১১ এপ্রিল ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন
আমরা যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, তাঁদের দিনের বড় একটি অংশ সহকর্মীদের সঙ্গেই কাটে। আসা–যাওয়া আর ঘুমের সময়টুকু বাদ দিলে দেখা যাবে, পরিবারের সদস্যদের চেয়ে তাঁদের সঙ্গেই কাটছে বেশি সময়। স্বাভাবিকভাবেই সহকর্মীদের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তাঁরা হয়ে ওঠেন বন্ধু, মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গী। কখনো কখনো এই সম্পর্ক পেশাগত সীমারেখাও ছাড়িয়ে যায়।
প্রশ্ন হলো, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এই সীমারেখা কোথায় টানতে হবে? অফিসে বা বাইরে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীর সঙ্গে কোন কথাটা বলা যাবে, কোন ঠাট্টাটা করা যাবে, মোটের ওপর কতটা মেলামেশা করা যাবে?
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লের কনসার্ট দেখতে গিয়ে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েন মার্কিন সফটওয়্যার সংস্থা অ্যাস্ট্রোনোমার প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বায়রন ও সংস্থাটির এইচআর প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। যাঁদের দুজনেরই রয়েছে আলাদা পরিবার। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অফিসের ক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যের সম্পর্ক নৈতিকতার কোন মানদণ্ড মেনে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সহকর্মীর সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন সেসব নিয়ে প্রতিটি ভালো অফিসেই আচরণবিধি থাকে