বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি: অপেক্ষমাণ ৮২৭ শিক্ষার্থীর নিশ্চায়ন ২৫ মার্চের মধ্যে
Published: 24th, March 2025 GMT
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য কলেজভিত্তিক প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের অনেকে নির্ধারিত সময়ে নিশ্চায়ন করেননি। এতে আসন শূন্য হওয়ায় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে প্রাথমিকভাবে ৮২৭ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করে কলেজভিত্তিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাঁদের আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিশ্চায়ন সম্পন্ন করতে হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ মার্চ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেধা ও পছন্দের ভিত্তিতে কলেজভিত্তিক প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক নিশ্চায়নের শেষ তারিখ ছিল ১৯ মার্চ। নির্ধারিত সময়ে নিশ্চায়ন না করায় আসন শূন্য হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে প্রাথমিকভাবে ৮২৭ শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করে কলেজভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁদের দ্বিতীয় নিশ্চায়নের শেষ তারিখ কাল। কোনো শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ে যদি নিশ্চায়ন না করেন অর্থাৎ তাঁর জন্য বরাদ্দ করা আসনটি নিশ্চিত না করেন, তাহলে বরাদ্দ করা আসনটি শূন্য বলে ধরে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনআইডিবি দেবে ৭২০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ, মিলবে হাতখরচের অর্থ২৩ মার্চ ২০২৫ভর্তি নিশ্চায়ন না করায় ওই শিক্ষার্থীকে পরবর্তী সময় বেসরকারি অন্য কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে না। প্রথমবার নিশ্চায়নকারী শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় নিশ্চায়নের প্রয়োজন নেই।
নিশ্চায়নের পদ্ধতিদ্বিতীয় নিশ্চায়নের সময়: টেলিটকের প্রিপেইড মুঠোফোনের Message অপশনে গিয়ে MBBSNG লিখে স্পেস দিয়ে User ID লিখে 16222 নম্বরে SMS প্রেরণ করতে হবে। উদাহরণ: MBBSNG FRLGCT টাইপ করে Send করুন 16222 নম্বরে। এখানে FRLGCT হলো ফরম পূরণ করে পাওয়া User ID ফিরতি SMS–এ একটি PIN, প্রার্থীর নাম ও নিশ্চায়ন ফি হিসেবে ১০০/- (একশত) টাকা কেটে রাখার তথ্য দিয়ে সম্মতি চাওয়া হবে। সম্মতি দেওয়ার জন্য নিম্নোক্তভাবে 16222 নম্বরে SMS পাঠাতে হবে: Message অপশনে গিয়ে MBBSNG লিখে, স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে PIN লিখে 16222 নম্বরে SMS প্রেরণ করতে হবে।
উদাহরণ: MBBSNG YES 456789 টাইপ করে Send করুন 16222 নম্বরে। এখানে 456789 হলো আগের ফিরতি SMS–এ পাওয়া PIN নম্বরটি সঠিকভাবে লেখা হলে উক্ত টেলিটকের প্রিপেইড মুঠোফোন থেকে নিশ্চায়ন ফি বাবদ ১০০/- (একশত) টাকা কেটে রাখা হবে এবং প্রার্থীকে ফিরতি SMS–এ আবেদন নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুনপেছাল গণিত পরীক্ষা, এসএসসি-২০২৫-এর নতুন রুটিন প্রকাশ১৯ মার্চ ২০২৫উদাহরণ: MBBSNG YES 456789 টাইপ করে Send করুন 16222 নম্বরে। এখানে 456789 হলো আগের ফিরতি SMS–এ পাওয়া PIN নম্বর। PIN নম্বরটি সঠিকভাবে লেখা হলে উক্ত টেলিটকের প্রিপেইড মুঠোফোন থেকে নিশ্চায়ন ফি বাবদ ১০০/- (একশত) টাকা কেটে রাখা হবে এবং প্রার্থীকে ফিরতি SMS–এ আবেদন নিশ্চিত করা হবে।
নিশ্চায়নের পদ্ধতি ও তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিলে ১৫০০০ এবং পিএইচডিতে ২০০০০, আবেদনের সময় আরও বৃদ্ধি২৩ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনসরকারি মেডিকেল কলেজে ২য় দফায় মাইগ্রেশন এবং অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ ব সরক র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন যখনই হোক, প্রস্তুত থাকতে হবে: সিইসি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এখনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা হলে ইসি সরকারের ‘ভাব’ বুঝতে পারবে। তখন নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে তিনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হোক বা এপ্রিলে—যখনই হোক নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি। গত শুক্রবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
এ বিষয়ে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, আগে বলা হয়েছিল ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। সেই সময়সীমা মাথায় রেখে ইসি প্রস্তুতি শুরু করেছিল। সেভাবে এগিয়েছিল। এখন আবার নতুন ‘ডাইমেনশন’ এসেছে। যৌথ বিবৃতির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘যে ঘোষণাটা লন্ডনে বসে হয়েছে, এটা আপনারা যেটুকু জানেন, আমি এর বাইরে বেশি কিছু জানি না। আপনারা যেটুকু দেখেছেন মিডিয়াতে, আমিও সেটুকু দেখেছি।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে—এ সংক্রান্ত যৌথ বিবৃতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমি এটা টেলিভিশনে দেখেছি, এটাকে আমি ফরমাল, অফিশিয়াল ভাবতে পারতেছি না। সরকারের সঙ্গে আমাদের এখনো কথাবার্তা হয় নাই, কী ধরনের সিদ্ধান্ত আসে। আমরা এখন আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবতেছি। যখনই হবে, যখনই হয় যাতে আমরা ইলেকশনটা “ডেলিভার” করতে পারি।’
সিইসি আরও বলেন, ‘এখন আমরা প্রস্তুতির বাইরে কিছু চিন্তা করছি না। যখন সরকারের সঙ্গে কথা হবে যে ওনারা কী আলোচনা করেছেন, আমরা তো নিশ্চয় ওনাদের ভাব বুঝতে পারব, বুঝে তখন একটা তারিখ, তখন সেটা করব। এখন আমাদের চিন্তা–ভাবনা, ধ্যান–ধারণা, শয়নে–স্বপনে নিজেদের প্রস্তুতি।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন—এটা এখনো তাঁদের কাছে পরিষ্কার নয়। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, গেজেটের মাধ্যমে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ছয় মাস–আট মাস আগে ভোটের তারিখ বলার বিধান আইনে নেই।
সিইসি বলেন, যৌথ বিবৃতিতে তিনি যেটা দেখেছেন যে রমজানের আগেও নির্বাচন হতে পারে। সেখানে ‘যদি’ আছে।
নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের জন্য বড় প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো অনেকটা শেষ হয়েছে। সবচেয়ে বড় কাজ ভোটার নিবন্ধন, এটি মোটামুটি শেষ।
চলতি বছরের হালনাগাদে যাঁদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সে তালিকা চূড়ান্ত হবে আগামী বছরের ২ মার্চ। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে তাঁরা ভোট দিতে পারবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত থাকতে হয়। সাধারণত ভোটের তারিখের মাস দুয়েক আগে তফসিল ঘোষণা করা হয়। যেদিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে, তার আগে যাঁদের ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ইসি চেষ্টা করবে। এ জন্য আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনার চিন্তা করছে ইসি। সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে—এই ওয়াদা তিনি দিতে পারবেন না। তাঁরা যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন, যাতে তরুণ প্রজন্মকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাদের আস্থায় আনতে ইসি কী করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোও দেশের ভালো চায়। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তাদের অনেক ধরনের কথাবার্তা বলতে হয়। এগুলো তিনি রাজনৈতিকভাবে দেখেন।
সিইসি আরও বলেন, কেউ বিপক্ষে না থাকলে বুঝতে হবে কোনো ‘কোয়ালিটি’ নেই। বিপক্ষে কেউ বললে তখন শোধরানোর সুযোগ থাকে। এ জন্য কেউ বিরুদ্ধে বললে তিনি আহত হন না। তিনি এ ধরনের সমালোচনাকে স্বাগত জানান।