ঘরে রুমে খেলাধুলা করার সময় শিশুর থেকে ধাক্কা লেগে দরজা লকড (তালাবদ্ধ) হয়ে যাওয়ায় ভেতরে আটকা পড়ে তাহসিফ আরমান শাফি নামের ২ বছর ৯ মাস বয়সী এক শিশু। তাকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।

আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসের পাহাড়িকা হাউজিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

উদ্ধার হওয়া শিশু শাফি উল্লেখিত এলাকার ভাই ভাই প্যালেস নামক ভবনে বসবাসকারী একটি প্রাইভেট কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার সাইদুর রহমানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সকাল নয়টার দিকে উল্লেখিত ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় শাফি খেলাধুলা করার সময় তার ধাক্কা লেগে রুমে দরজার লক পড়ে ভেতরে আটকা পড়ে যায়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা অনেক চেষ্টা করেও লক খুলতে না পারায় সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ২০ মিনিটের মধ্যে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লিডার বিভূতি বড়ুয়ার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ প্রায় ৩০ মিনিট চেষ্টার পর ওই দরজার লক খুলে শিশুটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শিশুর বাবা সাইদুর রহমান বলেন, আমার ছেলে প্রতিদিনের ন্যায় আজও রুমে খেলাধুলা করার সময় তার ধাক্কা লেগে দরজা লকড হয়ে যায়। পরে আমরা সব রকম চেষ্টা করেও দরজার লক খুলতে পারিনি। এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা দ্রুত এসে প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে দরজার লক খুলতে সক্ষম হয়।

হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, রুমে খেলাধুলা করার সময় দরজা লক হয়ে শিশু আটকে থাকার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজার লক খুলে শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উদ ধ র কর র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ