সব বয়সীরা দেখতে পারবেন নিশান-জেরিনের প্রেম-বিরহের গল্প
Published: 24th, March 2025 GMT
মুক্ত হয়ে গেল ‘দাগি’! শাস্তি কাটিয়ে যেমন দাগি আসামি কারাগার থেকে মুক্ত হয়, তেমনি সার্টিফিকেশন বোর্ডের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কাটিয়ে ‘দাগি’ সিনেমা এখন সবার সামনে আসতে প্রস্তুত। সোমবার সিনেমাটি পেয়েছে সার্টিফিকেশন বোর্ডের অনুমোদনপত্র। এতে করে ঈদের সিনেমার দৌড়ে এক ধাপ এগিয়ে গেল ‘দাগি’। অভিনেতা আফরান নিশোর দ্বিতীয় সিনেমাটি প্রদর্শনে আর কোনো বাধা রইল না।
সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড এবং সহপ্রযোজনায় আছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। শিহাব শাহীন পরিচালিত সিনেমাটি পেয়েছে ইউ গ্রেডের (ইউনিভার্সাল গ্রেড) সার্টিফিকেট। অর্থাৎ সব বয়সীরাই দেখতে পারবেন ‘দাগি’ সিনেমা। সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে সিনেমার প্রযোজক এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘ঈদে সবাই মিলে যেন সিনেমা উপভোগ করতে পারেন, তেমন সিনেমাই আমরা করতে চেয়েছি এবং সেটি করতে পেরেছি বলে মনে হয়। কারণ, সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড “দাগি” সিনেমাকে “ইউ গ্রেড” দিয়েছে।’
শাহরিয়ার শাকিল আরও বলেন, ‘যেকোনো সিনেমারই সার্থকতা হলো সিনেমাটি দর্শক পেল কি না। একটা সিনেমা কাজ করবে কি না, সেটা অনেকাংশে নির্ভর করে ফ্যামিলি অডিয়েন্সের ওপর। আমি বলব, “দাগি” দুর্দান্ত গল্পের সিনেমা। ঈদে সপরিবার দেখার মতো সিনেমা। “দাগি”-তে যে গল্প বলার চেষ্টা করা হয়েছে, যেভাবে বলার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, দেশের দর্শকেরা এ ধরনের গল্পই দেখতে চায়।’
অভিনেতা আফরান নিশো.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম
জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’
তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’
তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’
ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’
সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’