খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) অপসারিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী বাগেরহাট-৩ (মোংলা ও রামপাল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের পাঁচটি ব্যাংকের হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। পাঁচটি ব্যাংক হিসাব, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্র মিলিয়ে প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৪ মার্চ) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.

শরীফ হোসেন হায়দার এ আদেশ দেন। দুদক খুলনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক তাদের আইএফআইসি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার ব্যাংকের ব্যাংক হিসাব, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্র ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন। এর মধ্যে শুধু আইএফআইসি ব্যাংক খুলনা শাখায় পাঁচ কোটি টাকার হিসাব পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে আসার পথ আকর্ষণীয় করতে হবে: রূপালী চৌধুরী

বেড়েছে ব্যাংক-বহির্ভূত ঋণ, ৬ মাসে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার

২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর কেসিসি অপসারিত মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি দুদকের খুলনার উপ-পরিচালক আবদুল ওয়াদুদকে প্রধান করে অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক।

৫ আগস্টের পর থেকে তালুকদার আবদুল খালেক ও তার স্ত্রী হাবিবুন নাহার আত্মগোপনে রয়েছেন। খালেকের বিরুদ্ধে হত্যাসহ এক ডজন মামলা হয়েছে নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায়। 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আবদ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক

শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা  আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। 

আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”

আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিউলিপ এখনো বাংলাদেশের ভোটার, আছে পাসপোর্ট, এনআইডিও
  • পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার ১০ সুবিধা
  • পাবনার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক, অভিযোগ শ্যালকের 
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
  • সঞ্চয়পত্র নাকি এফডিআর—কোথায় বিনিয়োগ করবেন