গৃহকর্মী নিয়োগের আগে যে চেকলিস্ট অবশ্যই দেখে নেবেন
Published: 11th, December 2025 GMT
গৃহকর্মীরা সময়ের সঙ্গে পরিবারের অংশ হয়ে যান। দিনের একটা বড় সময় তাঁরা কাটান আমাদের ঘরে—শিশু, বয়স্ক সদস্য, রান্নাঘর, শোবার ঘর—সব জায়গায়ই তাঁদের উপস্থিতি থাকে। তাই বিশ্বাসের জায়গাটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই বিশ্বাস যদি যাচাই ছাড়া তৈরি হয়, তাহলে ঝুঁকিও তৈরি হয় নীরবে।
অনেক সময় পরিচিত কারও মাধ্যমে কিংবা তাড়াহুড়ায় গৃহকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক ঘটনাটি দেখিয়ে দিল, এই অবহেলা কখনো কখনো ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধ কেন গুরুত্বপূর্ণডিএমপি কমিশনারের অনুরোধের মূল কথা পরিষ্কার, পরিচয় নিশ্চিত না করে কাউকে ঘরের ভেতরের দায়িত্ব দেওয়া ঠিক নয়। জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থায়ী ঠিকানা, পরিবারের তথ্য নিশ্চিত থাকলে প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।
এটি শুধু অপরাধ প্রতিরোধের প্রশ্ন নয়; পরিবার এবং গৃহকর্মী—দুই পক্ষের নিরাপত্তার সঙ্গেই যুক্ত।
আরও পড়ুনযেকোনো জায়গায় কিউআর কোড স্ক্যান করা কি নিরাপদ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫আগেও যে কথা বলা হয়েছিলপ্রথম আলোর জীবনযাপন সেকশনে আগে প্রকাশিত একটি ফিচারেও গৃহকর্মী নিয়োগের সময় সচেতন থাকার কথা বলা হয়েছিল। সেখানে পরিচয়পত্রের কপি রাখা, আগের কর্মস্থলের খোঁজ নেওয়া, জরুরি যোগাযোগ নম্বর সংগ্রহ এবং কাজের দায়িত্ব পরিষ্কার করে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
আমরা অনেক সময় এসব জানি, কিন্তু বাস্তবে মানি না। সাম্প্রতিক ঘটনাটি আবার মনে করিয়ে দিয়েছে, সচেতনতা কোনো বাড়তি ঝামেলা নয়, এটি নিজের ঘরকে নিরাপদ রাখার একটি প্রয়োজনীয় শর্ত।
আস্থার সঙ্গে সতর্কতার ভারসাম্যগৃহকর্মীদের সবাইকে অপরাধী হিসেবে দেখা যেমন ভুল, তেমনি অন্ধ বিশ্বাসও বিপজ্জনক। নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য দরকার আস্থা ও সতর্কতার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য। নিজের ঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রথম দায়িত্ব আমাদেরই।
সচেতনতা কোনো বাড়তি ঝামেলা নয়, এটি নিজের ঘরকে নিরাপদ রাখার একটি প্রয়োজনীয় শর্ত.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ হকর ম
এছাড়াও পড়ুন:
সঞ্চয়পত্রের ক্রেতা মারা গেলে কীভাবে টাকা পাবেন
সঞ্চয়পত্রের ক্রেতা মারা গেলে কী হবে—এই প্রশ্ন প্রায়ই আসে। মৃত ব্যক্তির সঞ্চয়পত্রের টাকা ও মুনাফা কে পাবেন—এ কথাও হয়।
উত্তর সহজ—মৃত ব্যক্তির নমিনি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা পুরো টাকা পাবেন। এমনকি প্রতি মাসের মুনাফাও তুলতে পারবেন।
এবার দেখা যাক, সঞ্চয়পত্র ক্রেতার মৃত্যুতে নতুন পদ্ধতিতে ক্রয় করা সঞ্চয়পত্রের টাকা নমিনি কীভাবে উত্তোলন করতে পারবেন।
এ জন্য নমিনি সঞ্চয়পত্র ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করবেন। শুধু আবেদন করলেই হবে না, কিছু কাগজপত্রও দিতে হবে আবেদনপত্রের সঙ্গে।
কী কাগজপত্র লাগে১. সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা কিংবা সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ক্রেতার মৃত্যুসনদ
২. প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মেডিকেল থেকে প্রাপ্ত ক্রেতার মৃত্যুসনদ
৩. নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
৪. নমিনির ২ কপি ছবি
৫. নমিনির নাগরিকত্ব সনদের কপি
৬. নমিনির স্বাক্ষর সত্যায়নের কপি
৭. নমিনির ব্যাংক হিসাবের এমআইসিআর চেক পাতার কপি
মৃত্যুর পর সঞ্চয়পত্র চালু রাখা যায় কি?
ক্রেতার মৃত্যুর পর পুরো টাকা না তুলে নমিনি চাইলে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ চালু রাখতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তা চালু রাখতে পারবেন তিনি। চলতি মেয়াদ শেষ হলে মূল নগদায়ন করে নমিনি বিধি মোতাবেক নিজ নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।
নতুন নমিনি যুক্ত নয়ক্রেতার মৃত্যুর পর নমিনি সঞ্চয়পত্রের মালিকানা লাভ করে নতুন নমিনি নিযুক্ত করতে পারবেন না। তবে মূল নগদায়ন করে নিজ নামে ক্রয়ের মাধ্যমে পছন্দ অনুযায়ী নমিনি নিযুক্ত করতে পারবেন।
ক্রেতা ও নমিনি উভয়ই মারা গেলে কী হবেএ ক্ষেত্রে আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে। আদালত কর্তৃক নির্ধারিত ক্রেতার উত্তরাধিকারীরা সঞ্চয়পত্রের মালিকানা লাভ করবেন।
কত ধরনের সঞ্চয়পত্র আছেবর্তমানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের চার ধরনের সঞ্চয়পত্র আছে। এগুলো হলো—পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। পরিবার সঞ্চয়পত্র ছাড়া বাকি সব সঞ্চয়পত্রে ব্যক্তির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানও বিনিয়োগ করতে পারে।
একেক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার একেক রকম। মেয়াদপূর্তির এই হার ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ।
মেয়াদ পূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র ভাঙলে মুনাফা কমে যায়। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মেয়াদ পূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র না ভাঙাই ভালো।
একক নামের পাশাপাশি যৌথ নামেও সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। ব্যক্তির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ আছে।
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা সবচেয়ে নিরাপদ। সুদের হারও বেশ ভালো। মধ্যবিত্তের সবচেয়ে নিরাপদ সঞ্চয়মাধ্যম হলো সঞ্চয়পত্র। এমন চিন্তা থেকে অনেকেই সঞ্চয়পত্র কেনেন।