ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় সাত মাস হয়ে গেছে। আর সাত থেকে আট মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এই সময়টা রাজনৈতিক আত্মশুদ্ধির সময়। এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে ভালো মানুষকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যে নেতারা ‘খাই, খাই’ শুরু করেছেন, জনগণের কাছে তাদের ঠাঁই হবে না। 

মঙ্গলবার দশমিনায় বেগম আরেফাতুননেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

ভিপি নুর বলেন, মাদক নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দেন অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা। তারাই আবার মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দেন। এ কারণে সমাজ থেকে মাদক নির্মূল সম্ভব হচ্ছে না।

উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি লিয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল আলম, দশমিনা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ডা.

গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুজ্জামান বাদল, উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান প্রমুখ। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কালাম পঞ্চায়েত।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ল হক ন র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅধিকার পরিষদের নেতার বাড়িতে হামলা, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা

গণঅধিকার পরিষদের নেতা আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও হাবিবে মিল্লাত মুন্নাসহ আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ৫১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে গণঅধিকার পরিষদের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে আসামিরা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রামগাতী গ্রামে আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাট করে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে আব্দুর রহিমকে মারধর করে থানায় নেওয়া হয় এবং একটি মিথ্যা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়। সে সময় ভয় ও রাজনৈতিক চাপে মামলা করা সম্ভব হয়নি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।

ঢাকা/অদিত্য/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণঅধিকার পরিষদের নেতার বাড়িতে হামলা, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা