নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।

গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত রেজাউল করিম (৬০) ওই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রেজাউল শিশুটির বাড়ির পাশে একটি মুদি দোকান চালান। সোমবার সকালে আশপাশের এলাকা নির্জন থাকায় চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে ডেকে নেয় রেজাউল। পরে দোকান ঘরের পেছনের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। আহত শিশুকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ইউএনও সাজ্জাত হোসেন ও ওসি এনায়েত হোসেন শিশুটিকে হাসপাতালে দেখতে যান এবং চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। চিকিৎসক নূর ই আজমির ঝিলিক ধর্ষণের আলামত রয়েছে জানিয়ে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা রেজাউলকে আটক করে গণপিটুনি দেন। এ সময় এলাকাবাসী তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। থানার উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে শান্ত করে রেজাউলকে থানায় নিয়ে যায়।

আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, জনগণের রোষানল থেকে তারা অভিযুক্ত বৃদ্ধকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।

সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ