ঈদযাত্রায় স্বস্তি ও সাশ্রয়, রিটার্ন টিকিটে ২০ শতাংশ ছাড়
Published: 26th, March 2025 GMT
প্রতিবছর প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঈদ উদ্যাপন করতে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে দেশের বিভিন্ন শহর–গ্রামে ছুটে যায়। তবে স্বপ্নের বাড়ি ফেরার টিকিট পাওয়া যেমন ঝামেলার, ঠিক তেমনি ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরার সময়ও টিকিট পেতে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। অবশ্য গত দুই-তিন বছর ধরে চিত্র বদলেছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ এখন ঘরে বসেই অনলাইনে বাসের টিকিট কাটতে পারছেন, যার নেতৃত্ব দিচ্ছে দেশের শীর্ষ অনলাইন বাস টিকেটিং প্ল্যাটফর্ম ‘বিডিটিকিটস’।
বিডিটিকিটস এবারও যাত্রীদের জন্য এনেছে আরও সুবিধাজনক টিকেটিং–ব্যবস্থা। দেশের সব রুটের সেরা বাস কোম্পানির টিকিট পাওয়া যাচ্ছে বিডিটিকিটস-এ। ঈদে যাত্রীদের যাতায়াত আরও সাশ্রয়ী করতে বিডিটিকিটস রিটার্ন টিকিটে দিচ্ছে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। অফারটি পেতে বিডিটিকিটস অ্যাপে বা ওয়েবসাইটে টাইপ করতে হবে EIDRETURN20।
বিডিটিকিটস–এর হেড অব ক্যাম্পেইন শাফায়েত শাহনূর জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে বাসের টিকিট বিক্রি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ বছর ২০ লাখের বেশি টিকিট বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বিডিটিকিটস এবং যাত্রীরা এখনই রিটার্ন টিকিটও কাটছেন। বিশেষ করে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্টের কারণে অনেকেই অগ্রিম রিটার্ন টিকিট বুক করছেন, যা যাত্রীদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ও সুবিধাজনক হচ্ছে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সাজিদ ওয়াহিদ। তিনি প্রতিবছর সিলেটে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করেন। সাজিদ বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যসংখ্যা পাঁচজন। এসি বাসের একমুখী ভাড়া পড়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ৭ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু বিডিটিকিটস-এর সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ডিসকাউন্টের কারণে রিটার্ন টিকিট কাটতে পেরেছি আরও সাশ্রয় মূল্যে। এতে আমি সত্যিই খুশি।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী প্রান্ত কাদেরি বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজার যাচ্ছেন ঈদ উদ্যাপন করতে। তিনি বলেন, ‘আমরা সাতজন বন্ধু একসঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছি। বিডিটিকিটস-এর ডিসকাউন্ট অফারের কারণে আমাদের রিটার্ন টিকিটে ১ হাজার ৪০০ টাকার মতো সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় সুবিধা।’
বিডিটিকিটস দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন বাস টিকেটিং প্ল্যাটফর্ম, যা যাত্রীদের জন্য ভ্রমণকে করেছে আনন্দদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। এই ঈদে বিডিটিকিটস-এর ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে মাত্র কয়েক ক্লিকেই বাসের টিকিট কেনা যাচ্ছে। ফলে কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন পড়ছে না।
দেশের অন্যতম বৃহৎ ও বিশ্বস্ত অনলাইন বাস টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম বিডিটিকেটস দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃজেলা বাস যাত্রার জন্য আধুনিক ও স্বাচ্ছন্দ্যময় টিকিটিং সেবা প্রদান করে। ঈদসহ বছরজুড়ে যাত্রীদের যাতায়াত আরও দ্রুত ও সাশ্রয়ী করতে সব রুটের সেরা সব বাস নিয়ে বিডিটিকিটস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আছে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য অনলাইন পেমেন্ট অপশন এবং কোনো অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত টিকিট বুকিংয়ের সুবিধা।
আরও জানতে ভিজিট করুন www.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।
চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।
ঢাকা/এমআর/রফিক