সড়ক পথে ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে যানজট না থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। 

এদিকে, বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীরা কয়েক ঘণ্টা ধরে বাসসহ গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছে। এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। এতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যাত্রীরা।

যমুনা সেতু টোল প্লাজা সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন যমুনা সেতু পারাপার হয়। ঈদকে কেন্দ্র করে এ চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত ১২টা হতে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১১ পর্যন্ত ৩৫ ঘণ্টায় ৪৭ হাজার ১৮০টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯০ টাকা।

আরো পড়ুন:

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট

মাগুরায় সড়কে হাতির আকস্মিক মৃত্যু

মহাসড়কের নগরজলফৈ, রাবনা, এলেঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঈদযাত্রায় টাঙ্গাইলের মহাসড়কে পরিবহনের সংখ্যা বাড়ছে। উত্তরবঙ্গগামী লেনে বাস, ব্যক্তিগত যানবাহনসহ অন্যান্য পরিবহনের চাপ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। যানবাহনের চাপ বাড়লেও বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিতে রয়েছে। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই পরিবহনগুলো চলাচল করছে স্বাভাবিক গতিতে। যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদে বাড়ি যেতে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আর চালকরা বলছেন, আগের ভাড়া নিয়ে যাত্রী তুলছেন গাড়িতে।

রাজিয়া বেগম নামে নারী বাসযাত্রী জানান, স্বাভাবিক সময়ে টাঙ্গাইল হতে নাটারের ভাড়া সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা। ঈদযাত্রায় সেই ভাড়া ৭০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। অপর যাত্রী আরিফ হোসেন জানান, ঈশ্বরদী যাওয়ার জন্য এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। ভাড়া দাবি করা হচ্ছে, দ্বিগুণের বেশি। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

রাসেল মিয়া নামের এক বাস চালক জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে খালি বাস ঢাকায় নিয়ে যেতে হয়। তাই ন্যায্য ভাড়ার চেয়ে সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। কখনো অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয় না।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, মহাসড়কে যানজট নিরসনে যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে আলাদা দুটি মোটর সাইকেলের লেন, ১৮টি টোল বুথ, মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও যানজট নেই।

কালিহাতী সার্কেলের ইন্সপেক্টর মো.

মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েক দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) যানবাহনের চাপ অনেকটা বেড়েছে। দুপুরের পর চাপ আরো বেড়েছে। তবে কোথাও যানজট না থাকায় উত্তরের মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে প্রায় সাড়ে ৭০০ পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এরমধ্যে মোবাইল টিম, মোটরসাইকেল টিম দায়িত্ব রয়েছে। মহাসড়কে চারটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। মহাসড়কে বিকল যান অপসারণের জন্য ছয়টি রেকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
 

ঢাকা/কাওছার/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন য নজট ন ঈদয ত র পর বহন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

চব্বিশ নিয়ে যেন একাত্তরের মতো ‘চেতনা ব্যবসা’ না হয়: ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার  আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘‘জুলাই, ২৪ নিয়ে যেন একাত্তরের মতো ‘চেতনা ব্যবসা’ না হয়। জুলাই থেকে শিখে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়বো। যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তাদের বাস্তবতা অওয়ামী লীগের মতো হবে। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের ড. আতহার উদ্দীন মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। 

আমার বাংলাদেশ পার্টির পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক  প্রফেসর ড. এএসএম ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মেজর আব্দুল ওহাব মিনার ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাসীর। আলোচনা শেষে উপস্থিত সবাই জুলাই আন্দোলনের প্রদর্শিত চিত্র ঘুরে দেখেন।

ইমরান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ