এই আর্চার আর নেই সেই আর্চার! ইংল্যান্ডের এই পেসারের বর্তমান পারফরম্যান্স দেখে এটাই বলতে হচ্ছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যর্থ, আইপিএলে খাচ্ছেন বেধড়ক পিটুনি। কোনোভাবেই যেন ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারছেন না! উইকেট নিয়েও পুষিয়ে দিতে ব্যর্থ। সে কারণেই আর্চারকে নিয়ে প্রশ্নটা উঠছে।

এবারের আইপিএল আর্চার খেলেছেন মাত্র দুটি ম্যাচ। এই দুই ম্যাচে ৩৯টি বল করে খরচ করেছেন ১০৭ রান। ২৩ মার্চ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে কোনো উইকেট না পাওয়া আর্চার একাই দেন ৭৬ রান, যা আইপিএলে এক ইনিংসে রান বিলানোর নতুন রেকর্ড।

গতকাল কলকাতার বিপক্ষে ২.

৩ ওভারে রান দিয়েছেন ৩৩। এর মধ্যে জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ কলকাতার ওপেনার মঈন আলী আর্চারের ৭টি বল খেলে রান নিতে পারেন মাত্র ১। মানে দুই ম্যাচ মিলিয়ে বাকি ৩২ বলে ১০৬ রান খরচ করেছেন এই পেসার। অথচ ২০২০ সালে আর্চার ছিলেন আইপিএলের সেরা ক্রিকেটার। সেবারই সর্বশেষ আইপিএলে পুরো মৌসুম খেলেছিলেন তিনি।

আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে খরুচে বোলার এখন জফরা আর্চার

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর চ র

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ