গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সংস্কারের অনেকগুলো জায়গা আছে। কিছু নির্বাচনের আগেই নির্বাহী আদেশে সংস্কার করা সম্ভব। আবার অনেকগুলো সংস্কার, যেগুলো সাংবিধানিক ও মৌলিক কাঠামোগত, সেগুলো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের করতে হবে। নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংবিধান পরিবর্তন করা টেকসই হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পরে উপজেলা সদরে গণসংহতি আন্দোলনের দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে সব রাজনৈতিক দল একমত হবে। সর্বসম্মত জায়গায় দাঁড়াবে। সেটি জাতীয় সনদ আকারে সামনে আসবে। সেই পরিবর্তনগুলো আসবে। আর যেসব জায়গায় অনৈক্য আছে, দ্বিমত আছে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো অধিকতর জনমত গঠন করবে। জনগণের সমর্থনের ওপর বিষয়টি নির্ভরশীল।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘ভারত সরকারকে বলব, আপনারা বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সেই আশা পূরণ হয়নি। আওয়ামী লীগের আমলে এ দেশের মানুষের সবার কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল, বিরোধী দলের মত দমন করা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি দেশে। দেশের মানুষের এখনো ভোটের অধিকার নেই।

ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জহিরুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন গণসংহতি আন্দোলন বাঞ্ছারামপুরের সমন্বয়কারী শামীম শিবলী। এতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানের রাস্তায় রাস্তায়  ‘হিটেড বেঞ্চ’

জাপানের টোকিও, সাপোরো এবং ওসাকার মতো বড় বড় শহরগুলোর রাস্তায় হিটেড বেঞ্চ বসানো হয়েছে। তীব্র শীতের রাতে গৃহহীন মানুষদের উষ্ণতা এবং স্বস্তি দেওয়াই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।এই বেঞ্চগুলো সৌরশক্তি চালিত হয়ে থাকে।

হিটেড বেঞ্জগুলো দিনের বেলায় সূর্যের আলো থেকে তাপ সংগ্রহ করে বিশেষ "ফেজ-চেঞ্জ মেটেরিয়াল" ব্যবহার করে তা সংরক্ষণ করে।  এরপর সংরক্ষিত তাপ রাতে ধীরে ধীরে নির্গত হয় এবং প্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত উষ্ণতা সরবরাহ করতে পারে। এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। 

আরো পড়ুন:

কারা বেশি কাঁদেন? 

যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়

হিটেড বেঞ্চের জন্য কোনো অতিরিক্ত জ্বালানী বা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। এই মানবিক উদ্যোগটি জাপান সরকারের একটি সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ, যা নগর পরিকল্পনায় উদ্ভাবন এবং সামাজিক কল্যাণের এক চমৎকার উদাহরণ বলছেন দেশটির নাগরিকেরা। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ