ঈদকে সামনে রেখে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য গাজীপুরের ভোগড়া থেকে ঢাকা বাইপাস ফোর লেন এক্সপ্রেসওয়ের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সড়কটি খুলে দেওয়া হয় বলে জানান প্রকল্পের ম্যানেজার সুমন সিংহ।

এই সড়কে ঈদের আগের পাঁচদিন ও পরের পাঁচদিন কোনো টোল ছাড়াই যানবাহন যাতায়াত করতে পারবে। 

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

ঈদযাত্রা: গাজীপুরে যাত্রীর ঢল, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

চীনা প্রযুক্তির আধুনিক নির্মাণশৈলীতে তৈরি এই এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়েছে সেমি-রিজিড পেভমেন্ট প্রযুক্তি, যেখানে কোনো ইটের ব্যবহার নেই। ফলে প্রচলিত পিচঢালা সড়কের তুলনায় এটি হবে অধিক টেকসই এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচও কমবে অনেকটা। জলাবদ্ধতা বা বৃষ্টির কারণে রাস্তার ক্ষতির সম্ভাবনাও থাকবে না। এই সড়কটি চালু হলে উত্তরবঙ্গের যানবাহন ঢাকার ভেতর না ঢুকে কম সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে যেতে পারবে। 

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের ভোগড়া থেকে মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার ফোর লেনের এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। 

প্রকল্পের ম্যানেজার সুমন সিংহ জানান, ঈদযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে এ প্রকল্পের ৪৮ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ভোগড়া থেকে নারায়ণগঞ্জ পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার ফোর লেন এক্সপ্রেসওয়ের রাস্তাটি সাময়িকভাবে চালু করা হয়েছে।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন প রকল প র

এছাড়াও পড়ুন:

বেহাল সড়ক

মুন্সিগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের সংযোগ স্থাপনকারী প্রধান সড়কটি হলো মুক্তারপুর তেলের পাম্প থেকে মানিকপুর পর্যন্ত সড়ক। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বর্তমানে চরম বেহাল। যান চলাচল প্রায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

কিছুদিন আগে ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই সড়কটি আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে কাজ করেছে, ব্যবহার করেছে নিম্নমানের উপকরণ। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি ভেঙে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।

একটি জেলা শহরের প্রবেশপথের এমন করুণ অবস্থা সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি যানবাহন। ফলে বাধ্য হয়ে ভাঙা সড়ক দিয়েই মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।

সড়কটির এমন করুণ অবস্থার পেছনে মূলত দুর্নীতিই দায়ী। কোথায় পানি জমে, কোথায় ঢালু রাখা প্রয়োজন—এসব মৌলিক বিষয়ও পরিকল্পনায় উপেক্ষিত ছিল। প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর জবাবদিহির অভাব ও নজরদারির ঘাটতির কারণেই আজ এ দুরবস্থা।

সড়কের খারাপ অবস্থার জন্য এবং এর পেছনের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জ শহরের সাধারণ মানুষ এখন রাস্তায় নেমেছেন। তাঁরা প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে দ্রুত সংস্কার ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আন্দোলন করছেন।

মো. রাসেল ভূঁইয়া

খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সিগঞ্জ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টানা বর্ষণে বেহাল বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক, খানাখন্দে ভোগান্তি
  • বেহাল সড়ক