খুলে দেওয়া হলো ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের ১৮ কিলোমিটার
Published: 28th, March 2025 GMT
ঈদকে সামনে রেখে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য গাজীপুরের ভোগড়া থেকে ঢাকা বাইপাস ফোর লেন এক্সপ্রেসওয়ের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সড়কটি খুলে দেওয়া হয় বলে জানান প্রকল্পের ম্যানেজার সুমন সিংহ।
এই সড়কে ঈদের আগের পাঁচদিন ও পরের পাঁচদিন কোনো টোল ছাড়াই যানবাহন যাতায়াত করতে পারবে।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
ঈদযাত্রা: গাজীপুরে যাত্রীর ঢল, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়
চীনা প্রযুক্তির আধুনিক নির্মাণশৈলীতে তৈরি এই এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়েছে সেমি-রিজিড পেভমেন্ট প্রযুক্তি, যেখানে কোনো ইটের ব্যবহার নেই। ফলে প্রচলিত পিচঢালা সড়কের তুলনায় এটি হবে অধিক টেকসই এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচও কমবে অনেকটা। জলাবদ্ধতা বা বৃষ্টির কারণে রাস্তার ক্ষতির সম্ভাবনাও থাকবে না। এই সড়কটি চালু হলে উত্তরবঙ্গের যানবাহন ঢাকার ভেতর না ঢুকে কম সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে যেতে পারবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের ভোগড়া থেকে মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার ফোর লেনের এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্পের ম্যানেজার সুমন সিংহ জানান, ঈদযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে এ প্রকল্পের ৪৮ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ভোগড়া থেকে নারায়ণগঞ্জ পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার ফোর লেন এক্সপ্রেসওয়ের রাস্তাটি সাময়িকভাবে চালু করা হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন প রকল প র
এছাড়াও পড়ুন:
তফসিল বাতিলের দাবিতে মাদারীপুরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল বাতিলের দাবিতে মাদারীপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মহাসড়কটির একাধিক স্থানে গাছ ফেলে রাখায় ভোর থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী, চালক ও পরিবহনশ্রমিকেরা।
আজ শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার সমাদ্দার থেকে মস্তফাপুর বড় ব্রিজের মধ্যবর্তী তিনটি স্থানে মহাসড়কটির ওপর গাছ ফেলে অবরোধ করা হয়। এ সময় মুখে মাস্ক পরে মোটরসাইকেল শোডাউন ও বিক্ষোভ মিছিলও করেন কয়েকজন।
পুলিশ বলছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল বাতিলের দাবিতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচি হিসেবে পলাতক নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচি পালনের করার চেষ্টা করেছেন।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সমাদ্দার, কলাবাড়ি এবং ঘটকচর ও মস্তফাপুর বড় ব্রিজের মধ্যবর্তী এলাকায় অন্তত তিন স্থানে আট–নয়টি গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। যানজটে দিনের প্রথম প্রহরেই দূরদূরান্তের যাত্রী ও চালকেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সড়ক থেকে গাছগুলো অপসারণ করা হয়। এরপর সকাল সাতটার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিভিন্ন স্থানে গাছ কেটে ফেলা হলেও স্থানীয় লোকজন সেগুলো সরিয়ে দেয়