ব্যাংককে ভূমিকম্পে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন মুহূর্তে ধসে পড়েছে। উত্তর ও মধ্য থাইল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ প্রচারিত একটি ভিডিওতে ভবনগুলো কাঁপতে দেখা গেছে। আতঙ্কে লোকজন রাস্তায় ছোটাছুটি করছেন।
এনডিটিভিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ভিডিওটিতে দেখা গেছে, বড় একটি বহুতল ভবন সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ছে। স্থানীয়রা ভবনটির ভেঙে পড়ার ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করছেন। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
পর্যটন শহর চিয়াং মাইয়ের বাসিন্দা ডুয়াংজাই এএফপিকে বলেন, ‘আমি ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। ভূমিকম্প টের পেয়ে যত দ্রুত সম্ভব ভবন থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসি।’
ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বড় বহুতল ভবনের ছাদ থেকে সুইমিং পুলের পানি নিচে পড়ছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাড়ির ছোট সুইমিং পুলের পানি প্রচণ্ডভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে, যা দেখতে সুনামির মতো।
আজ শুক্রবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ এবং ৬ দশমিক ৪ মাত্রার দুটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ঢাকা থেকে ৫৯৭ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের মান্দালয় ৭ দশমিক ৭ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং শহরের ১৬ থেকে ১৮ কিলোমিটারের মধ্যে, যা রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ ম কম প ভ ম কম প দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।