পারিবারিক টানাপোড়েন, সামাজিক অ্যাকশন, রোমান্টিক অ্যাকশন, ফোক ফ্যান্টাসিসহ প্রায় সব ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সফলতা পেয়েছেন চিত্রনায়ক আলমগীর। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক, গায়ক ও পরিচালক হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন। আশি ও নব্বইয়ের দশকজুড়ে দাপট দেখানো খ্যাতিমান এই চিত্রনায়ক ১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। পঁচাত্তর পূর্ণ করে ছিয়াত্তরে পা দিতে যাচ্ছেন চিরসবুজ এই তারকা।

আলমগীরের বাবার নাম হাজি কলিমুদ্দিন আহমেদ। তাকে সবাই দুদু মিয়া নামে চেনেন। দেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এর অন্যতম প্রযোজক তিনি। বাবার পথ অনুসরণ করে প্রযোজনায় না দিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান আলমগীর। অভিনয় করেন ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায়। ১৯৭৩ সালের ২৪ জুন মুক্তি পায় এটি। তখন তার বয়স ২২। আর সেই তরুণকে নায়ক হিসেবে গ্রহণ করেন চলচ্চিত্রপ্রেমীরা। তার পরের গল্প প্রায় সবারই জানা।

দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়া ২২৫টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আলমগীর। তার অভিনীত সিনেমাগুলো হলো— আমার জন্মভূমি,  দস্যুরানী,  অতিথি, চাষীর মেয়ে, লাভ ইন সিমলা, হাসি কান্না, মাস্তান, জয় পরাজয়, গুণ্ডা, মাটির মায়া, শাপমুক্তি, জাল থেকে জ্বালা, মনিহার, হীরা, মমতা, মনের মানুষ, রাতের কলি, লুকোচুরি, হাবা হাসমত, জিঞ্জির, মধুমিতা, হারানো মানিক, মেহেরবানু, কন্যাবদল, কাপুরুষ, শ্রীমতি, ৪২০, বদলা, সাম্পানওয়ালা, কসাই, গাঁয়ের ছেলে, প্রতিজ্ঞা, লুটেরা, চম্পাচামেলী, ওস্তাদ সাগরেদ, দেনা পাওনা, মধুমালতী, আল হেলাল, সবুজ সাথী, ভালোবাসা, বাসরঘর, মান সম্মান, ধনদৌলত, হাসান তারেক, সালতানাত, দ্বীপকন্যা, সকাল সন্ধ্যা, হল, অগ্নিপরীক্ষা।

আরো পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে পর্দা কাঁপাচ্ছে শাকিবের ‘বরবাদ’

বাড়ি ফিরে এখনো কেঁদে ফেলি: ঋতুপর্ণা

তা ছাড়াও রয়েছে— আশার আলো, রজনীগন্ধা, বড় বাড়ীর মেয়ে, লাইলী মজনু, ঘরের বউ, ভাত দে, সখিনার যুদ্ধ, নতুন পৃথিবী, হিসাব নিকাশ, দুই নয়ন, অন্যায়, ঘরের লক্ষ্মী, মা ও ছেলে, গীত, স্বামী স্ত্রী, অপেক্ষা, পথে হল দেখা, সত্য মিথ্যা, রাঙা ভাবী, ক্ষতিপূরণ, দোলনা, মরণের পরে, পিতা মাতা সন্তান, অচেনা, সান্ত্বনা, অন্ধ বিশ্বাস, শাসন, অবুঝ সন্তান, দেশপ্রেমিক, স্নেহ, কন্যাদান, পোকামাকড়ের ঘর বসতি, অজান্তে, সত্যের মৃত্যু নাই, মায়ের অধিকার, দুর্জয়, ঘাতক, টাকা, রানী কুঠির বাকি ইতিহাস, তুমি আমার স্বামী, জীবন মরণের সাথী প্রভৃতি।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন আলমগীর। তা ছাড়া ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘আজীবন সম্মাননায়’ ভূষিত হন এ অভিনেতা।

ব্যক্তিগত জীবনে গীতিকার খোশনূরের সঙ্গে ঘর বাঁধেন আলমগীর। এ সংসারেই আঁখি আলমগীর, মেহরুবা ও তাসভীরের জন্ম হয়। খোশনূরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ১৯৯৯ সালে উপমহাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাকে বিয়ে করেন আলমগীর।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র ন আলমগ র

এছাড়াও পড়ুন:

রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।

গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।

রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চলছে যে বিএনপি সংস্কারের বিরোধী: মির্জা ফখরুল
  • কাঁচাপাট রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেএ চেয়ারম্যানের
  • বাবাকে না পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে যায় শিশু, মুহূর্তে ট্রাকচাপায় নিহত
  • রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
  • ক্ষুব্ধ-বিরক্ত আঁখি বললেন, ভণ্ডামি থেকে মুক্তি চাই
  • ‘বয়স বাড়ছে, বুঝে ফেলি কে মিথ্যা বলে’—ফেসবুকে আঁখি আলমগীর