‘পাহাড়ে কাউকে চাঁদাবাজি-অস্ত্রবাজি করতে দেওয়া হবে না’
Published: 3rd, April 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, “পাহাড়ে কাউকে চাঁদাবাজি বা অস্ত্রবাজি করতে দেয়া হবে না, এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেউ যেন হাতে তুলে না নেয় সেই বিষয়ে সকলের সহযোহিতা চাই।”
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে রাঙামাটি বিজিবি সদর সেক্টরে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের পরে বিভিন্ন থানা লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ভারতের মিডিয়া মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও গুজব রটিয়ে যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশের মিডিয়াকে এই অপ্রচারকে প্রতিহত করতে হবে।”
এর আগে রাঙামাটির সাজেক পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে.
সেখানে বিজিবির ক্যান্টিন সীমান্ত শৈলিতে স্থানীয় হেডম্যান (মৌজা প্রধান), কার্বারির (পাড়া প্রধান) সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।
সাজেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নির্বাপণের গুরুত্ব বিবেচনায় সেখানে অস্থায়ীভাবে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি নিয়োজিত রাখার জন্য সংস্থাটির মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ শাখা) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল;
বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ব্যুরো চিফ), পিলখানা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইয়াছির জাহান হোসেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, উপ মহাপরিচালক (পূর্ত) কর্নেল সোহেল আহমেদ, পরিচালক (সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আতিফ সিদ্দিকী;
পিএস টু ডিজি বিজিবি লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুলাহ আল মাশরুকী, এনএসআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আবু নোমান সরকার, এডিসি টু ডিজি বিজিবি ক্যাপ্টেন সাকিব হাসান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) কাজী হাফিজ আমিন ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ নার্স শামস আরমান।
ঢাকা/শংকর/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।