উয়েফার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারেন রিয়াল মাদ্রিদের জার্মান ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচের পর তার একটি বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি তদন্ত করছে ইউরোপিয়ান ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। নিষেধাজ্ঞা পেলে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আর্সেনালের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না তিনি।  

গত ১২ মার্চ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড অব ১৬-এর দ্বিতীয় লেগে নাটকীয় পেনাল্টি শুটআউটে জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচ চলাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে রিয়ালের কয়েকজন খেলোয়াড়ের আচরণ তদন্ত করছে উয়েফা। বিশেষত রুডিগারের পাশাপাশি ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানি সেবাইয়োসের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।  

তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন রুডিগার। ম্যাচ শেষে অ্যাটলেটিকো সমর্থকদের উদ্দেশে ‘গলা কাটার’ অঙ্গভঙ্গি করেন তিনি, যা অনেকের কাছেই হুমকিসূচক মনে হয়েছে। উয়েফা এই আচরণকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করছে, যার ফলে তার নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।  

অন্যদিকে, এমবাপ্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে অশোভন উদযাপনের। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তিনি গোল উদযাপনের সময় বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি করেছেন। যদিও এটি গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গ নয় বলে মনে করা হচ্ছে। একই কারণে ভিনিসিয়ুস ও সেবাইয়োসকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হতে পারে।  

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস ও সেবাইয়োসের শাস্তি তুলনামূলক হালকা হতে পারে। তাদের আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি এক ম্যাচের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ, আগামী এক বছরে একই ধরনের আচরণ করলে তখন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

রুডিগারের শাস্তি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। তদন্তে উয়েফা রুডিগারের অঙ্গভঙ্গি আগ্রাসী ও উসকানিমূলক হিসেবে দেখছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) উয়েফা তদন্তের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। এতে আগামী ৮ এপ্রিল আর্সেনালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে রুডিগার নাও খেলতে পারেন।

রিয়াল মাদ্রিদ উয়েফার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা এলে দল সাজানো নিয়ে চাপে পড়বেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। আগামী ৮ এপ্রিল লন্ডনে আর্সেনালের বিপক্ষে প্রথম লেগ এবং ১৬ এপ্রিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় লেগ খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে কোনো বাংলাদেশি থাকলে উপযুক্ত চ্যানেলে পাঠাতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক ভারতে থেকে থাকলে, তাঁদের উপযুক্ত চ্যানেলে পাঠাতে হবে।

ভারত থেকে কিছু মানুষকে বিভিন্ন জেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। আমাদের দেশের নাগরিক যদি ভারতে থাকেন, তাহলে উপযুক্ত চ্যানেলে পাঠালে আমরা নেব। কিন্তু তাঁদের জঙ্গলের ভেতর ও নদীতে ফেলে যাওয়া কোনো সভ্য দেশের আচরণ হওয়া উচিত নয়।’

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ঈদ–পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে মারধর করলে পুলিশকে খুব সচল বলে ভাবা হতো। কিন্তু বর্তমান সরকার এমন পুলিশ চাইছে না। আমরা মানবিক পুলিশ চাচ্ছি, যারা সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করবে। এখনকার পুলিশ হচ্ছে মানবিক পুলিশ। তারা এখন ভালো ব্যবহার করে দেখেই সাধারণ জনগণ ভাবছে, পুলিশ সচল হয়নি। বর্তমান পুলিশ কিন্তু আগের চেয়ে আরও বেশি সক্রিয়।’

আরও পড়ুন২৪ দিনে ১১৪৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ০১ জুন ২০২৫

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটা প্রস্তুত এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যখন নির্বাচনের সময় ঘোষণা করবে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সে অনুযায়ী প্রস্তুত রয়েছে।’

আরও পড়ুনভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা০৩ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতে কোনো বাংলাদেশি থাকলে উপযুক্ত চ্যানেলে পাঠাতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, সামরিক কুচকাওয়াজ ঘিরে উত্তেজনা
  • যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, সামরিক কুচকাওয়াজ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা
  • ইরানে ইসরায়েলের হামলা বিশ্বকে বড় ঝুঁকিতে ফেলেছে: খেলাফত মজলিস