চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় রিয়ালের এক ঝাঁক তারকা
Published: 3rd, April 2025 GMT
উয়েফার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারেন রিয়াল মাদ্রিদের জার্মান ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচের পর তার একটি বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি তদন্ত করছে ইউরোপিয়ান ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। নিষেধাজ্ঞা পেলে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আর্সেনালের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না তিনি।
গত ১২ মার্চ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড অব ১৬-এর দ্বিতীয় লেগে নাটকীয় পেনাল্টি শুটআউটে জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচ চলাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে রিয়ালের কয়েকজন খেলোয়াড়ের আচরণ তদন্ত করছে উয়েফা। বিশেষত রুডিগারের পাশাপাশি ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানি সেবাইয়োসের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।
তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন রুডিগার। ম্যাচ শেষে অ্যাটলেটিকো সমর্থকদের উদ্দেশে ‘গলা কাটার’ অঙ্গভঙ্গি করেন তিনি, যা অনেকের কাছেই হুমকিসূচক মনে হয়েছে। উয়েফা এই আচরণকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করছে, যার ফলে তার নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে, এমবাপ্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে অশোভন উদযাপনের। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তিনি গোল উদযাপনের সময় বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি করেছেন। যদিও এটি গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গ নয় বলে মনে করা হচ্ছে। একই কারণে ভিনিসিয়ুস ও সেবাইয়োসকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হতে পারে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস ও সেবাইয়োসের শাস্তি তুলনামূলক হালকা হতে পারে। তাদের আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি এক ম্যাচের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ, আগামী এক বছরে একই ধরনের আচরণ করলে তখন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
রুডিগারের শাস্তি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। তদন্তে উয়েফা রুডিগারের অঙ্গভঙ্গি আগ্রাসী ও উসকানিমূলক হিসেবে দেখছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) উয়েফা তদন্তের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। এতে আগামী ৮ এপ্রিল আর্সেনালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে রুডিগার নাও খেলতে পারেন।
রিয়াল মাদ্রিদ উয়েফার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা এলে দল সাজানো নিয়ে চাপে পড়বেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। আগামী ৮ এপ্রিল লন্ডনে আর্সেনালের বিপক্ষে প্রথম লেগ এবং ১৬ এপ্রিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় লেগ খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’
গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।