সাত দিনব্যাপী ঈদ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। একক নাটক, চলচ্চিত্র, ধারাবাহিক নাটক, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, গানের অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠানসহ নানা বৈচিত্র্যময় আয়োজনে সাজানো হয়েছে চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান। ঈদের ষষ্ঠ দিন কী কী আয়োজন থাকছে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোয়, তা নিয়ে বিনোদনের বিশেষ এই আয়োজন।

এটিএন বাংলা
সকাল আটটায় প্রভাতি অনুষ্ঠান ‘চায়ের চুমুকে’। বেলা ১টা ২৫ মিনিটে ছোটদের নৃত্যানুষ্ঠান ‘ধুম তানা না’। বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে কমেডি শো ‘হাউস নাম্বার ৪২০’। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে নাটক ‘খালাতো বোনের সংসার’। অভিনয়ে রাফসান ইমতিয়াজ, শায়লা সাথী। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে নাটক ‘নান্টু ঘটক’। অভিনয়ে মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে নাটক ‘নীল শাড়ি’। অভিনয়ে অপূর্ব, তানজিন তিশা। রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মিউজিক্যাল শো ‘মিউজিক এক্সপ্রেস’। রাত ১১টায় নাটক হোম বয়। অভিনয়ে আরশ খান, তাসনুভা তিশা।

চ্যানেল আই
বেলা ২টা ৩০ মিনিটে টেলিফিল্ম ‘কানামাছি’। অভিনয়ে মুশফিক আর ফারহান, সাফা কবির। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে টেলিফিল্ম ‘আবীর ছোঁয়া’। অভিনয়ে ইয়াশ রোহান, তটিনী। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ধারাবাহিক ‘মিশন মুন্সিগঞ্জ’। অভিনয়ে আফজাল হোসেন, চঞ্চল চৌধুরী, আশনা হাবিব ভাবনা। রাত ৭টা ৫০ মিনিটে নাটক পানি। অভিনয়ে আবুল হায়াত, দিলারা জামান, শাকিল, রাজ্য, মনির। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে নাটক ‘প্রহর’। অভিনয়ে তৌসিফ, কেয়া পায়েল।

এনটিভি
সকাল আটটায় নৃত্যানুষ্ঠান ‘লাল-সবুজের দোলা’। বেলা ২টা ৩০ মিনিটে টেলিফিল্ম ‘রঙিন চশমা’। অভিনয়ে সাদিয়া আয়মান, শহীদুজ্জামান সেলিম, প্রান্তর দস্তিদার। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ধারাবাহিক ‘রূপবানের প্রেম’। অভিনয়ে তাসনুভা তিশা, সৈয়দ জামান শাওন, রূবাইয়া এশা, কচি খন্দকার।

সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে একক নাটক ‘চায়ের দোকানদার’। অভিনয়ে জাহের আলভী, অহনা রহমান। রাত ৯টা ১৫ মিনিটে একক নাটক ‘তোমার সঙ্গে থাকতে চাই’। অভিনয়ে আরশ খান, সামিরা খান মাহি। রাত ১১টা ৫ মিনিটে একক নাটক ‘তোমার গল্পে আমি’। অভিনয়ে পার্থ শেখ, নওবা তাহিয়া হোসেন। রাত ১২টা ১ মিনিটে ‘তারুণ্যের গান’। ব্যান্ড: মা ভৈঁ দ্য কমরেড।

বৈশাখী টেলিভিশন
সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ‘বৈশাখীর সকালের গান’। অতিথি: কণ্ঠশিল্পী অনিন্দিতা অথি। বেলা ১১টায় ‘গানে গানে ঈদ আনন্দ’। অতিথি কণ্ঠশিল্পী গামছা পলাশ ও নিশি শ্রাবণী। বেলা ১টায় ‘শুধু সিনেমার গান’। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ধারাবাহিক ‘ব্ল্যাক মানি’। অভিনয়ে কাজী হায়াৎ, ওমর সানী, ডন, অমিত হাসান, হাসান জাহাঙ্গীর। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে ধারাবাহিক ‘মানি লোকের মান’।

অভিনয়ে জাহের আলভী, ফারজানা আহসান মিহি, আবদুল্লাহ রানা। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ধারাবাহিক ‘শাশুড়ির বিয়ে’। অভিনয়ে মীর সাব্বির, আ খ ম হাসান, ফারজানা আহসান মিহি, শিল্পী সরকার অপু, মাসুম বাশার, শেলী আহসান। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ধারাবাহিক ‘লন্ডনি জামাই’। অভিনয়ে রাশেদ সীমান্ত, অহনা রহমান, আহসানুল হক মিনু। রাত ৮টা ১৫ মিনিটে একক নাটক ‘প্রেমের ফুল ফোটে না’। অভিনয়ে রাশেদ সীমান্ত, অলংকার চৌধুরী, সঞ্চিতা দত্ত। রাত ৯টা ২০ মিনিটে ধারাবাহিক ‘ট্রাক ড্রাইভার’। অভিনয়ে শহীদুজ্জামান সেলিম, ফারহানা মিলি, ফারজানা ছবি। রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে একক নাটক অভাবের সংসার। অভিনয়ে শ্যামল মাওলা, মাইমুনা মম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ১৫ ম ন ট ৩০ ম ন ট অন ষ ঠ ন ক ন টক আহস ন

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে

জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।

এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ