গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন যোগীতলা এলাকায় শনিবার রাত ৮টার দিকে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার চণ্ডীপুর গ্রামের মো. আব্দুল্লাহর ছেলে মাহাবুর রহমান (৪০) ও একই উপজেলার বাটুয়াখানা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ মিয়া ছেলে মো. ওবাইদুল হক (৪৭)। নিহত দুজন মোটরসাইকেল আরোহী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেলে করে ওই দুজন ভোগড়া বাইপাস থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁদের মোটরসাইকেলটি যোগীতলা এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের ওই দুই আরোহী নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত পাল জানান, ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের ওই দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ই আর হ স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ