Samakal:
2025-09-18@00:04:46 GMT

ঈদেও মন খারাপ শিশুদের

Published: 5th, April 2025 GMT

ঈদেও মন খারাপ শিশুদের

এবারের ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটি ছিল। তাই বেড়ানোতেই ছিল ঈদের মূল আনন্দ। তবে সেই আনন্দে ছিল আক্ষেপ আর হতাশাও। নির্দিষ্ট কিছু বিনোদন কেন্দ্র লোকে-লোকারণ্য থাকলেও, শিশু-কিশোরদের বিনোদনে ছিল ঘাটতি। শিশু-কিশোরদের মূল আকর্ষণ থাকে শিশু-পার্ক ও থিম পার্কে। কিন্তু এবার চট্টগ্রামের শিশুদের আনন্দের প্রধান তিন পার্কই বন্ধ। কাজীর দেউড়ি শিশুপার্ক ভেঙে ফেলা হয়েছে, আগ্রাবাদ শিশুপার্ক ও ‘মিনি বাংলাদেশ’খ্যাত স্বাধীনতা কমপ্লেক্সেও ঝুলছে তালা। যেখানে রয়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর অবিকল ডামি। স্বাধীনতা কমপ্লেক্স বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজনকে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে।
তবে মানুষের ভিড় ছিল পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড, জাতিসংঘ পার্ক, পতেঙ্গা প্রজাপতি পার্ক, আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠ, কর্ণফুলী নদীর অভয়মিত্র ঘাট, বায়েজিদ লিংক রোড, হালিশহর সাগর পাড় ছাড়াও সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সাগরপাড়, মীরসরাইয়ে মহামায়া লেক, আনোয়ারায় পারকি সমুদ্রসৈকত, ফটিকছড়ির বিভিন্ন চা বাগানে।
দেখা হচ্ছে না ‘মিনি বাংলাদেশ’ : স্বাধীনতা কমপ্লেক্স পার্ককে বলা হয় ‘মিনি বাংলাদেশ’। কারণ এই পার্কে রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন, আহসান মঞ্জিল, সুপ্রিম কোর্ট, কৃত্রিম জলরাশি, কার্জন হল, কান্তজীর মন্দির, দরবার হল, বড়কুঠি, ছোটকুঠি, ছোট সোনামসজিদ, লালবাগ কেল্লা, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনার, সেন্ট নিকোলাস চার্চ, চিরন্তন পল্লীর হুবহু ডামি স্থাপনা। রয়েছে ট্রেনের নিচে সেতু, ছয়টি কিউচ (বসার স্টল), পাঁচটি পানির ফোয়ারা ও তিনটি কিডস জোন। 
এ ছাড়া রয়েছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে মিল রেখে ৭১ মিটার বা ২৩০ ফুট উচ্চতার স্বাধীনতা টাওয়ার। এই টাওয়ারে রয়েছে একটি রিভলভিং রেস্টুরেন্ট (ঘূর্ণায়মান রেস্তোরাঁ)। ২৩ তলা উচ্চতার  এই রেস্তোরাঁ থেকে একনজরে পুরো চট্টগ্রাম শহর, কর্ণফুলী নদী এমনকি বঙ্গোপসাগরও দেখা যায়। ২০০৬ সালে এই পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন স্বাধীনতা কমপ্লেক্সে একসঙ্গে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো দেখতে ভিড় করেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে সেটা বন্ধ থাকায় এই ঈদে মিনি বাংলাদেশ দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দর্শনার্থীরা। 
ভেঙে ফেলা হয়েছে কাজীর দেউড়ি শিশুপার্ক : চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় ছিল একটি শিশুপার্ক। নগরীর মাঝামাঝিতে অবস্থিত এই পার্কে দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই থাকত। বেশ কিছুদিন আগে এটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। যে জায়গায় পার্কটি গড়ে তুলেছিল সিটি করপোরেশন, সেটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি। শর্তভঙ্গের কারণে ২০২৩ সালের অক্টোবরে পার্কটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে এটি উচ্ছেদ করে সমতল ভূমিতে পরিণত করা হয়। এরপর জায়গাটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।
বন্ধ আগ্রাবাদ শিশুপার্ক: নগরীর আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশুপার্কের জন্য ১৯৯১ সালে ৯ একর জমি ইজারা দেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। ২০০০ সালে পার্ক নির্মাণ করে আনন্দমেলা লিমিটেড। পার্কটির ব্যবস্থাপনায়ও ছিল প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৫ সালে শেষ হওয়ার কথা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ইজারা চুক্তি। তার আগেই গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এই পার্কেও তালা ঝুলছে। ভেতরের খালি জায়গায় ঘাস-আগাছা জন্মেছে। বিভিন্ন স্থানে চেয়ার-টেবিল বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। পার্কে কর্মরত এক দারোয়ান জানিয়েছেন পরিচালনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
সাগর-সৈকতে মানুষের মিতালি : এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে। শিশু থেকে বৃদ্ধ– সব বয়সী মানুষ পানিতে গা ভাসিয়ে মেতেছেন ঈদের আনন্দ-উৎসবে। দলবেঁধে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি আড্ডায় মেতে উঠেছেন তারা। কেউ সাগরপাড়ে হেঁটে বেড়িয়েছেন। কেউবা সাগরের নোনা জলে নেমে পড়েছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা-সময় বয়ে গেলেও ভিড় শেষ হয়নি। 
বোয়ালখালী থেকে নতুন বউকে সঙ্গে নিয়ে সাগরপাড়ে আসেন সম্রাট। তিনি বলেন, ‘চাকরির কারণে খুব একটা বেড়ানোর সুযোগ হয় না। তবে এবার ঈদে লম্বা ছুটি পাওয়া গেছে। এই সময়টাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাচ্ছি। হাতের কাছে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। অথচ খুব একটা আসা হয় না। তাই এবার ঈদের ছুটিতে স্ত্রীকে নিয়ে সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে এলাম। হাজারো মানুষের ভিড়ে দারুণ আনন্দে সময়টাকে উপভোগ করছি।’
এদিকে বড় পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় মোতায়েন করা হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। দর্শনার্থীরা যাতে কোনো সমস্যায় না পড়েন সে জন্য টহলও বাড়ানো হয়েছে। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে দায়িত্বরত একজন ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার সৈকতে মানুষ ভিড় করছেন বেশি। দর্শনার্থীরা যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়েন সে জন্য বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে।
লোকারণ্য ফয়’স লেক ও চিড়িয়াখানা : চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ও ফয়’স লেকের অবস্থান পাশাপাশি। লোকজন ছুটিতে চিড়িয়াখানায় ঢু মারার পাশাপাশি ফয়’স লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। চিড়িয়াখানায় বাঘ থেকে শুরু করে সিংহ, বানর, হনুমান ও হরিণসহ বিভিন্ন পশুপাখি রয়েছে। এগুলোর প্রতি শিশু-কিশোরদের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি শিশুপার্কের পাহাড়ের মাঝখানে থাকা খেলনায় চড়ে আনন্দ উপভোগ করেছে শিশুরা। 
কনকর্ড ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ডেও ভিড় জমে দর্শনার্থীদের। এখানে আসা দর্শনার্থীদের প্রথম পছন্দ মনোরম লেক ভ্রমণ। তরুণ প্রজন্মের পছন্দ ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড। এখানে জল উৎসবে মেতে ওঠেন দর্শনার্থীরা। বেস ক্যাম্পে আর্চারি, ক্লাইম্বিং ওয়াল, ট্রি টপ অ্যাকটিভিটিতে মেতেছেন সবাই। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কমপ ল ক স স ব ধ নত এই প র ক আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
  • কারও কোনো অপরাধ নাই
  • বিশ্বকর্মা পূজা: গাঙ্গেয় শিল্পের উৎসব
  • আজ থেকে বুসান উৎসব, নানাভাবে রয়েছে বাংলাদেশ
  • ‎সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • ঘুম থেকে অনন্ত ঘুমে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড
  • ২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি
  • শেষ হলো সপ্তম যোসেফাইট ম্যাথ ম্যানিয়া ২০২৫