উৎসব আমেজে খোয়াই পাড়ের ঐতিহ্যবাহী বান্নি মেলা অনুষ্ঠিত
Published: 6th, April 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরের পুরানবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী বান্নি মেলা। এ মেলাকে ঘিরে পুরো শায়েস্তাগঞ্জ জুড়েই ছিলো উৎসবের আমেজ।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মেলা শুরু হয়। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। মেলা উপলক্ষে খোয়াই নদীর তীরঘেঁষা পুরানবাজারে শত শত মানুষের সমাগম ঘটে। বিভিন্ন স্থান থেকে নারী-পুরুষ মেলায় আসেন। তাদেরকে আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায়।
দিনব্যাপী মেলাতে শতাধিক দোকানে পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। মেলায় গরু, হাতি, ঘোড়া, উট, বক, পুতুল ইত্যাদি মাটির তৈরি খেলনা ছাড়াও গৃহস্থালি সামগ্রীরও অনেক জিনিস ওঠে। চুরি-ফিতা মন্ডামিঠাইসহ নানা খাদ্যসামগ্রীও বিক্রি হতে দেখা যায়।
জনসমাগম থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়ও ছিল বিশেষ গুরুত্ব। শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীলিপ কান্ত নাথ জানান, দিনব্যাপী মেলাতে ১০ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। সার্বক্ষণিক মেলার চারদিক নজরদারিতে রাখা হয়। র্যাবের টহলও ছিল।
জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরের পুরানবাজারের বান্নি মেলা প্রায় অর্ধ্বশত বছর ধরেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। জনশ্রুতি রয়েছে, ঐতিহ্যবাহী বারুণী স্নানোৎসব থেকেই বান্নি মেলার উৎপত্তি। তাই এই মেলার দিন সকালে পূণ্যস্নানের আয়োজন থাকে।
ঢাকা/মামুন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডায় নির্বাচন: মার্ক কার্নির লিবারেল সদর দপ্তরে উৎসব শুরু
কানাডায় ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল আসতে আরও খানিকটা সময় লাগবে। তবে এরই মধ্যে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির দল লিবারেল পার্টির সদর দপ্তরে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। কারণ, দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি বলেছে, এবার লিবারেল সরকার হতে চলেছে।
কানাডার ৩৪৩ আসনের হাউস অব কমন্সে লিবারেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, নাকি তাদের সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে মার্ক কার্নিই যে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লিবারেল ১৫৬টি আসনে এগিয়ে আগে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে চাই ১৭২টি আসন। খুব একটা পিছিয়ে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি। দলটি ১৪৭ আসনে এগিয়ে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমাদের নির্বাচন থেকে দূরে থাকুন। কানাডা সব সময় গর্বিত, সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ থাকবে এবং আমরা কখনো ৫১তম অঙ্গরাজ্য হব না।—পিয়েরে পলিয়েভর, বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতাপুরোপুরি বদলে যাওয়া এক নির্বাচনী পরিবেশে গতকাল সোমবার ভোট দিয়েছেন কানাডার জনগণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার ইচ্ছা দেশটিতে নির্বাচনের আগে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল।
ট্রাম্পের এ ধরনের হুমকি কানাডায় দেশপ্রেমের জোয়ার সৃষ্টি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে লিবারেল পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মার্ক কার্নির প্রতি জনসমর্থন বেড়ে যায়।
লিবারেল ১৫৬টি আসনে এগিয়ে আগে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে চাই ১৭২টি আসন। খুব একটা পিছিয়ে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি। দলটি ১৪৭ আসনে এগিয়ে।অথচ যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ও ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক কথাবার্তা শুরু হওয়ার আগে জরিপে প্রতিদ্বন্দ্বী পিয়েরে পলিয়েভরের কনজারভেটিভ পার্টি থেকে সামান্য পিছিয়ে ছিল কার্নির লিবারেল দল। ট্রাম্প কানাডাকে নিয়ে আক্রমণাত্মক কথা বলা শুরু করলে কানাডীয়দের মধ্যে দেশপ্রেমের জোয়ার ওঠে এবং জরিপের পূর্বাভাসে হঠাৎ বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ভোটের দিন সকালেও ট্রাম্প কানাডাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম কাঙ্ক্ষিত অঙ্গরাজ্য হয়, তবে শূন্য শুল্কের সম্মুখীন হবে।
লিবারেল পার্টির সদর দপ্তরে সমর্থকদের উল্লাস