অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে অগ্রণী ব্যাংককে জেতালেন তাইবুর
Published: 7th, April 2025 GMT
বোলিংয়ে ৪ উইকেট। ব্যাটিংয়ে ৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তাইবুর রহমান জেতালেন অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সুপার লিগের পথে একটু এগিয়ে গেল অগ্রণী ব্যাংক।
লিগে নয় ম্যাচে এটি তাদের ষষ্ঠ জয়। তিনটি ম্যাচ হেরেছে তারা। অন্যদিকে ভালো অবস্থানে নেই ব্রাদার্স। সমান ম্যাচে এটি তাদের সপ্তম হার। শেষ দুই রাউন্ডে জয় না পেলে অবনমন লিগ খেলতে হতে পারে তাদেরকে।
আগে ব্যাটিং করতে নেমে ব্রাদার্স ৯ উইকেটে ২৩৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে অগ্রণী ব্যাংক ৪৮.
আরো পড়ুন:
অমিত-মজিদে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বড় জয়
যাদের নাম হয়, তাদের বদনামও হয়: নাসির
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া তাইবুর ছয়ে নেমে ৪৫ বলে ১ চারে ৩৫ রান করেন। তার সঙ্গে সমান গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন সাতে নামা শুভাগত হোম। ৩৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এছাড়া সাদমান ইসলাম ৪৪, ইমরানউজ্জামান ২১ ও অমিত হাসান ২৫ রান করেন। মিডল অর্ডারে মার্শালের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান।
বোলিংয়ে তাইবুর ছিলেন দলের সেরা। ১০ ওভারে ৪১ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রুয়েল মিয়া ও আরিফ আহমেদ।
অভিজ্ঞ অলোক কাপালি ব্রাদার্সের হয়ে হাল ধরেছিলেন শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে। ৫৭ বলে ৫৮ রান করেন ৪ চার ও ২ ছক্কায়। ৪৪ রান আসে মিজানুর রহমানের ব্যাট থেকে। ৩৩ করেন আইচ মোল্লা। তারা কেউই ভালো শুরুর পর থিতু হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি। সোহাগ গাজীও শেষ দিকে ৩৪ রান যোগ করে পুঁজি বড় করতে রাখেন অবদান।
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন