২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নির্বিচার পাখির মতো গুলি করা হয়: মামুনুল হক
Published: 10th, December 2025 GMT
ইসলামি জনতাকে বারবার বুলেটের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নির্বিচার পাখির মতো গুলি করা হয়। ২০২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলনের কারণে আলেমদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ২০২৪ সালে জুলাই বিপ্লবে এ দেশে আপামর তৌহিদি জনতা, ছাত্রজনতা, কৃষক–শ্রমিক–মজুরদের হত্যা করে বাংলাদেশকে রক্তে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা শাখার আয়োজনে সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুল হক এ কথা বলেন।
আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ হবে বলে দাবি করেন মামুনুল হক। তিনি জানান, বিগত সময়ে যারা ক্ষমতার মসনদে ছিল, তারা দেশের প্রতিনিধি নয়; বরং ভিনদেশি কৃতদাসী হিসেবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। এ দেশের মানুষের অধিকার আদায় নয়, ভিনদেশিদের স্বার্থ আদায় করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। দেশটাকে উজাড় করে সোনার বাংলাকে শ্মশান বানিয়ে মানুষের রক্ত ও জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে দেশটাকে গুমের রাজত্বে পরিণত করা হয়েছিল। বাংলাদেশটাকে মৃত্যুকূপে পরিণত করা হয়েছিল।
বিগত সরকারের আমলে ইসলামি নেতাদের বছরের পর বছর বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল অভিযোগ করে মামুনুল হক বলেন, জেল–জুলুম–হুলিয়া চালানো হয়েছিল, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছিল। কারাগারে বিনা চিকিৎসায় আলেমদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল—১৫টি বছর ছিল আলেম–ওলামা তথা ইসলামপন্থীদের রক্ত দেওয়ার, ত্যাগ ও কোরবানির সময়। সব জুলুম–নির্যাতনের পর চব্বিশের বিপ্লব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চব্বিশের এ বিপ্লবে যারা বুক চিতিয়ে জীবন দিয়েছিল, তাদের সিংহভাগ ছিল আলেমসমাজ। জীবন ও রক্তের বিনিময়ে বিদেশি আধিপত্যমুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করা হয়েছে। নতুন করে আবার বিদেশি পরাজিত শক্তি অন্য কারও মাথার ওপর ভর করে বাংলার মানুষকে যদি জিঞ্জিরাবদ্ধ করতে চায়, তা বরদাশত করা হবে না।
ঐক্যবদ্ধ জনগণ যাদের প্রতিহত করেছে, তারা ভিন্ন রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ করছি, জীবন দিয়ে যেই ফ্যসিবাদ বিতাড়িত করেছি, সেই ফ্যাসিবাদ ভিন্নরূপে বাংলার ক্ষমতার মসনদে আসার পাঁয়তারা করলে আমরা রাজপথে লড়াই করে মোকাবিলা করব। নিজের বক্তব্যে চাঁদাবাজি, লুটপাট, দুর্নীতি বন্ধ ও জুলাই সনদের আইনিভিত্তি বাস্তবায়নে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীকের পাশাপাশি গণভোটে হ্যাঁ ব্যালটে সিল দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানাই।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন, নায়েবে আমির শাহ মুহাম্মদ সাঈদ নূর, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, ফুলবাড়িয়া আসনে খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী মুফতি আবদুল কাদের, জামায়াত মনেনানীত প্রার্থী অধ্যক্ষ কামরুল হাসানসহ খেলাফত মজলিসের অন্য নেতারা।
একই দিন বিকেলে ভালুকা সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশেও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মামুনুল হক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ম ন ল হক হয় ছ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা ১১ ডিসেম্বর
পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর এ এজিএম হবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
বিডি থাইয়ের লোকসান বেড়েছে ১৫০ শতাংশ
সূচকের উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ নভেম্বর প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের গত ৭ ডিসেম্বরের আদেশ (কোম্পানি ম্যাটার নং ১১০৭ অব ২০২৫) অনুসরণ করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ গত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এজিএমের তারিখ নির্ধারণে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
ইসলামী ব্যাংকের ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা আগামী ১১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে করা হবে।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের (জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সমাপ্ত হিসাববছরের কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৬৮ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৩.৯৫ টাকা।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪.৩৬ টাকা।
ঢাকা/এনটি/রফিক