‘ভালো একটি ভবন নির্মাণে অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে উপযুক্ত জমি, নির্ভুল নকশা, নির্মাণ কৌশল ও মানসম্মত সামগ্রী ব্যবহার। নির্মাণসামগ্রীর মধ্যে সিমেন্ট ব্যবহারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক ও আলাদা বৈশিষ্ট্যের সিমেন্ট নির্মাণ ব্যয় অনেক কমিয়ে দেয়।’ সমকালের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন কুষ্টিয়ার স্থা-কল্প আর্কিটেক্টসের প্রিন্সিপাল আর্কিটেক্ট নাজমুস সাকিব তনু।

ভবন নির্মাণের প্রতিটি ধাপই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বালু নির্বাচন থেকে শুরু করে রড, টাইলস, সুইচ বোর্ড বসানো– সবই নিখুঁত ও নির্ভুল হওয়া উচিত। সিমেন্ট ব্যবহারেও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।’ স্থপতি নাজমুস সাকিব বলেন, ‘দেশে ভবন নির্মাণে এখন র‌্যাপিড হার্ডেনিং ফিচার বা পোর্টল্যান্ড সিমেন্টকে (পিসি) গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ অন্য সাধারণ সিমেন্ট বা অর্ডিনারি পোর্টল্যান্ড সিমেন্টের (ওপিসি) চেয়ে পোর্টল্যান্ড সিমেন্টে কার্বন এমিশন তুলনামূলক কম। ওপিসির তুলনায় পিসির দামও কম। তাছাড়া র‌্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট দ্রুত জমাট বাঁধে। ফলে কম সময়ে টেকসই ভবন নির্মাণ সম্ভব হয়।’ র‌্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট দিয়ে ভবন নির্মাণ করলে ব্যয় অনেক কমে আসে বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

স্থপতি নাজমুস সাকিব বলেন, ঢাকার বাইরে অনেক নির্মাণ প্রজেক্টের কাজ শেষ হতে দুই থেকে আড়াই বছর পর্যন্ত লেগে যায়। কারণে সেখানে আধুনিক প্রযুক্তি পৌঁছেনি। চাইলেই সেখানে রেডি মিক্স বা অন্য সামগ্রী ব্যবহার করা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে র‌্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট ঢালাই স্পেশালের কথা ভাবা যায়। এ সিমেন্ট ব্যবহার করে প্রজেক্ট বাস্তবায়নের সময় কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভবন ন র ম ণ ভবন ন র ম ণ ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

ভারতের তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অজিত কুমার। ভক্তদের কাছে তিনি থালা অজিত নামেই পরিচিত। গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছিল এটি। এরই মাঝে গুঞ্জন উড়ছে, পারিশ্রমিক বাড়াতে যাচ্ছেন অজিত।

পিঙ্কভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অজিত কুমারের পরবর্তী সিনেমা ‘একে৬৪’। এখনো সিনেমাটির নাম চূড়ান্ত হয়নি। গুঞ্জন অনুযায়ী, এ সিনেমার জন্য অজিত কুমার তার পারিশ্রমিক ১৫০ কোটি রুপি থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৭-২৪১ কোটি টাকার বেশি) করতে পারেন। 

আরো পড়ুন:

মুক্তির আগেই কত টাকা আয় করল ‘কানতারা টু’?

আমি খুব কেঁদেছিলাম: মোহিনী

অজিত কুমার মনে করেন—‘সাধারণ গল্পের সিনেমাকেও রাজকীয়ভাবে উপস্থাপন করা উচিত।’ এই কারণে, সিনেমাটির বাজেট সম্ভবত ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি রুপির মধ্যে হতে পারে। তবে অজিতের টিমের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।

‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা নির্মাণ করেন পরিচালক আধিক রবিচন্দ্রন। ‘একে৬৪’ সিনেমাও তারই নির্মাণের কথা রয়েছে। রেসিং সিজনের বিরতিতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কারণ অজিত কুমার তখন তার সিনেমার দিকেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দেবেন। শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমা সব ধরণের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হবে, যেখানে ‘গুড ব্যাড আগলি’ কেবল অজিত ভক্তদের কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছিল।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ