ভাসানচরকে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে
Published: 10th, April 2025 GMT
ভাসানচরকে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করার ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে হাতিয়া দ্বীপ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের আগে প্রেসক্লাবের সামনে ‘হাতিয়ার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ’–এর ব্যানারে একটি মানববন্ধন হয়।
আয়োজকদের দাবি, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের অনুমোদনক্রমে ২০১৬-১৭ সালের দিয়ারা জরিপে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা ভাসানচরকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাতিয়া দ্বীপ সমিতির সভাপতি জাহেদুল আলম বলেন, ২০১৬-১৭ সালেই নবসৃষ্ট ভাসানচর অংশটির (ভাসানচর, শালিকচর, চর বাতায়ন, চর মোহনা, চর কাজলা এবং কেউয়ারচর) দিয়ারা জরিপ শেষ করে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর। এর ফলাফল ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি গেজেটে ভাসানচর অংশের ছয়টি মৌজা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জাহেদুল আলম আরও বলেন, ২০১৮ সালে সন্দ্বীপের জনৈক অধিবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পরবর্তী সময়ে সব কার্যক্রম শেষ করে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ভাসানচরকে হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট নোটিশ জারি করা হয়েছে। ভাসানচর অংশের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, বর্ণিত ছয়টি মৌজা নিয়ে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের অধীন ভাসানচর থানা গঠিত হয়। ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এর গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
হাতিয়া দ্বীপ সমিতির সভাপতির দাবি, ‘দীর্ঘদিন পর দূরভিসন্দিমূলকভাবে চলতি বছরের ২৩ মার্চ জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস চট্টগ্রাম, নোয়াখালী (হাতিয়া) ও চট্টগ্রাম (সন্দ্বীপ) অংশের সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠায়। একই দিন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (রাজস্ব শাখা) আন্তজেলা সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গঠিত কমিটির প্রথম সভার কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা হয়। এটা সুস্পষ্ট প্রশাসনিক ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করছি।’
জাহেদুল আলম বলেন, ‘জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয়ের প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ত্রুটিপূর্ণ ও পক্ষপাতদুষ্ট। একটি কুচক্রী মহল ওই অঞ্চলের শান্তি ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপপ্রয়াসে ভাসানচরকে একটি ইস্যু হিসেবে সামনে এনেছে, যা অনভিপ্রেত। এ বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
হাতিয়া দ্বীপ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক শিল্পবিষয়ক সম্পাদক কারিমুল হাই নাঈম, হাতিয়া দ্বীপ সমিতির সাবেক সভাপতি হেদায়েত হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, নোয়াখালী জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি শাহ মিজানুল হক মামুন, অ্যাডভোকেট শাহ মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ষড়যন্ত্র রুখতে পারে গণতন্ত্রের প্র্যাকটিস: তারেক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “দেশের ওপর নেমে আসা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ঠেকানোর একমাত্র শক্তি হলো জনগণের গণতান্ত্রিক চর্চা।”
তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র রুখতে পারে এই গণতন্ত্রের প্র্যাকটিস।”
আরো পড়ুন:
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
হাদির ওপর আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ: বিএনপি
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির ছয় নম্বর দিনের আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মসূচিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
তারেক রহমান বলেন, “আজ স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, তার আগে চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর ওপরও হামলা হয়েছে। যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা এসব ঘটনার সুযোগ নিতে চাইবে। এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে পারে দেশের মানুষ—গণতন্ত্রের চর্চা।”
তিনি ছাত্রদল কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আজ সারা দিন তোমরা যা শিখেছো, তা নিজেদের মধ্যে রাখবে না। এগুলো দেশের মানুষের জন্য কাজে লাগাতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হলে যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। গণতন্ত্রের মূলবোধ ফিরিয়ে আনতে হবে। আগামী দিনে তোমাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার।”
কর্মসূচিতে ছাত্রদের বিভিন্ন কর্মকৌশল, প্রাথমিক সংগঠন ব্যবস্থাপনা এবং আইটি সেক্টরে তরুণদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।”
তারেক রহমান বলেন, “ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় বড় পরিবর্তন আসে। আইটির ক্ষেত্রে তোমরা কীভাবে অবদান রাখতে পার, সেটি নিয়ে ভাবতে হবে।”
তিনি আরো উল্লেখ করেন, “চিকিৎসা পাওয়া একটি মানুষের মৌলিক মানবাধিকার। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো এই অধিকার নিশ্চিত করা।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দীন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারাও আলোচনায় অংশ নেন।
ঢাকা/আলী/সাইফ