সমাবেশে গিয়ে হৃদরোগে বিএনপি নেতার মৃত্যু
Published: 10th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে খুলনায় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেখ দিদারুল হোসেন দিদার নামে (৬০) এক বিএনপি নেতা মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর শিববাড়ী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শেখ দিদারুল ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়ন পরিষদের টানা তিন মেয়াদের চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও খর্নিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
খুলনা জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক খান ইসমাইল হোসেন জানান, গতকাল বিকেলে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। বিকেল সাড়ে ৫টার সময় সেখান থেকে মিছিল বের হয়। ওই মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন শেখ দিদারুল।
এ সময় মিছিলের মধ্যে তিনি হঠাৎ মাটিতে লুটে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পাশের সিটি মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীর কান্নায় হাসপাতালে শোকের ছায়া নেমে আসে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ ন ত র ম ত য ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।