ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
Published: 11th, April 2025 GMT
ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালকসহ আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়কের বীর রামপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, হনুফা আক্তার এবং অজ্ঞাত এক যুবক। নিহত হনুফা জেলার গৌরীপুর উপজেলার টাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা রিপন মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের স্বামী আহত রিপন মিয়া জানান, তাদের কর্মস্থল গাজীপুরের মাওনা। তারা সেখান থেকে বাসে করে ত্রিশাল আসেন। ত্রিশাল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ছোট ভাইয়ের ছেলের বিয়ে উপলক্ষে গৌরীপুরের নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন। তাদের অটোরিকশাটি ত্রিশাল বালিপাড়া সড়কের বীর রামপুর এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি বাসের ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে মুখমণ্ডল ও মাথা থেঁতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তার স্ত্রী।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহম্মেদ জানান, এ দুর্ঘটনায় নিহত ২ জনের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। নিহত অপর যুবকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’
গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।