নাটোরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে নারীকে কোপানোর অভিযোগ
Published: 11th, April 2025 GMT
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক নারীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে জাকারিয়া হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে গুরুদাসপুর উপজেলার কুমারখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত জাকারিয়া বিয়াঘাট এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। তিনি কুমারখালীতে শ্বশুরবাড়িতে থেকে কৃষিকাজ করেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে এক নারী কুমারখালি মাঠের পুকুরে শামুক কুড়াতে যান। এ সময় একা পেয়ে জাকারিয়া তাকে কুপ্রস্তাব দেন। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জাকারিয়া ওই নারীকে জাপটে ধরে পাশের ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে জাকারিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে ওই নারীকে এলোপাথারি কুপিয়ে পালিয়ে যান। ভুক্তভোগী রক্তাক্ত শরীর নিয়ে মাঠের পাশেই এক বাড়ির উঠানে এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠান। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছে। তার গলায়, কানের নিচে, দুই হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন আছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত জাকারিয়া পলাতক আছেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেছেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ এখনো থানায় আসেনি। তারপরও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
ঢাকা/আরিফুল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিরিয়ার পর নিজেদের কেন টার্গেট মনে করছে তুরস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে ইসরায়েল সম্প্রতি সিরিয়ার দামেস্ক ও সুওয়াইদার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে যে সুওয়াইদায় দ্রুজ মিলিশিয়া ও সুন্নি বেদুইন উপজাতিদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুজদের রক্ষা করতে এই হামলাগুলো চালানো জরুরি ছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলার ফলে নতুন করে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে তুরস্ককে একটি নাজুক পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। আঙ্কারা এখন সিরিয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতির ওপর তাদের কৌশলগত অবস্থান পুনরায় মূল্যায়ন করছে। সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন ও সিরিয়ার রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে তুর্কি রাজনীতিবিদেরা নজিরবিহীন চাপের মধ্যে রয়েছেন।
দ্য নিউ আরবকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুর্কি নিরাপত্তা বিশ্লেষক এরসান এরগুর ব্যাখ্যা করেছেন যে সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা এখন তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ভিত্তিস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘আঙ্কারা এখন আর সিরিয়ার ইস্যুকে কেবল একটি বৈদেশিক নীতির বিষয় হিসেবে দেখে না, বরং এটিকে অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার বিষয় হিসেবে দেখে।’ তিনি আঞ্চলিক বিভাজন থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া এবং আবার তুরস্কে শরণার্থীর ঢল নামতে পারে—এমন আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করেন।
এরগুর বলেন, তুরস্কের কৌশলটি তার ‘সন্ত্রাসমুক্ত তুরস্ক’ প্রকল্পের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। তুরস্কের এ প্রকল্পটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করে। তুরস্কের ভূরাজনৈতিক অবস্থান, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নেটওয়ার্কগুলো সঙ্গে গভীর যুক্ততার কারণে আঙ্কারা সিরিয়াকে স্থিতিশীল করতে চায়। এটি শুধু তার সীমান্ত রক্ষা করার জন্য নয়, বরং তার আশপাশে ব্যর্থ রাষ্ট্রগুলোর উত্থান রোধ করার জন্যও।
ইসরায়েলি হামলার পর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরের কাছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। ১৬ জুলাই ২০২৫