আইনিভাবে তৃতীয় বিয়ের ইতি টানলেন শ্রাবন্তী
Published: 11th, April 2025 GMT
ছাদ আলাদা হয়েছিল বহু আগেই। চলছিলো মামলা। অবশেষে আইনিভাবে বিচ্ছেদ হল রোশন সিং ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার তাদের বিচ্ছেদের আইনি সিলমোহর দিলেন আদালত। শ্রাবন্তীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদের খবরের ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারকে নিশ্চত করেছেন রোশন সিং নিজেই।
রোশন সিং জানান, সবটাই শান্তিপূর্ণভাবে মিটে গেছে। গত ৮ এপ্রিল থেকে আমরা আইনিভাবে আলাদা। তবে প্রেম ও বিয়ের আগে তারা যেমন অপরিচিত ছিলেন, আইনি বিচ্ছেদের পর তারা তেমনই থাকবেন।
এর আগেই জানা গিয়েছিল রোশনের সঙ্গে বিচ্ছেদের মামলায়, মাসিক ৭ লাখ টাকা খোরপোশ চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। গতবছর তার সেই আবেদনে স্টে অর্ডার দিয়েছিল আদালত। তবে রোশন সিং-কে কি আদৌ মাসিক ৭ লক্ষ টাকা খোরপোশ দিতে হচ্ছে অভিনেত্রীকে- এ বিষয়টি নিয়ে অবশ্য এদিন কিছু জানাননি রোশন।
দীর্ঘদিন ধরেই রোশান-শ্রাবন্তীর আইনি বিচ্ছেদ নিয়ে টানাপড়েন চলছিল। অবশেষে তাঁরা গত সেপ্টেম্বরে (২০২৪) পাকাপাকিভাবে বিচ্ছেদের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যান। শুধু বাকি ছিল দুজনের স্বাক্ষর-এর। তার জন্যই আদালত ৮ এপ্রিল দিনটি ধার্য করেছিল। তবে এতদিন এই বিচ্ছেদ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন শ্রাবন্তী ও রোশন দুজনেই।
এদিকে শ্রাবন্তীর থেকে আলাদা হওয়ার পরই বর্তমান প্রেমিকা অনামিকার সঙ্গে ঘর বাঁধতে প্রস্তুত রোশন সিং। পেশায় তিনি একজন জিম প্রশিক্ষক। সেই পেশাগত দিকটা একটু গুছিয়ে নিয়েই ফের নতুন করে জীবন সাজাতে প্রস্তুত তিনি।
২০১৯ সালের শুরুর দিকে রোশন-শ্রাবন্তীর প্রেমপর্ব শুরু হয়। ‘গুগলি’ ছবির প্রিমিয়ারে প্রথমবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল দুজনকে। মাস কয়েকের মধ্যেই পঞ্জাবে গিয়ে লুকিয়ে বিয়ে সারেন তাঁরা। বিয়ের দিন দশেক পর বিয়ের খবর জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু সুখের সংসারে ভাঙন ধরে ২০২০-র সালের পূজার ঠিক আগে। যদিও শুরুতে কেউ কিছু বলেননি। পরে জানা যায়, শ্রাবন্তীর আরবানার ফ্ল্যাট ছেড়েছেন রোশন সিং। তারপরই তাঁদের আলাদা হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, মাত্র ১৬ বছর বয়সে পরিচালক রাজীব বিশ্বাসকে বিয়ে করেছিলেন শ্রাবন্তী। এরপর ২০১৬ সালে মডেল কৃষাণ ব্রজকে বিয়ে করেন তিনি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিচ্ছেদের আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। ২০১৯ সালের গোড়ার দিয়েই চূড়ান্ত হয় কৃষাণ-শ্রাবন্তীর ডিভোর্স। কয়েক মাসের মাথাতেই রোশনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন অভিনেত্রী।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ র বন ত র ন শ র বন ত
এছাড়াও পড়ুন:
জবি শিবিরের মেধাবীদের তালিকায় নেই ৩ বিভাগের শিক্ষার্থী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেধাবী শিক্ষার্থীদের ‘কবি মতিউর রহমান মল্লিক মেরিট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেছে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। তবে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি সংস্কৃতি-সম্পর্কিত নাট্যকলা, সংগীত ও ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের কোনো শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত না করায় সমালোচনার মুখে পড়েছে সংগঠনটি।
জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ মাঠে ২০১৮–১৯ ও ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের প্রতি বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের হাতে এই মেরিট অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই তিন বিভাগের কোনো শিক্ষার্থীর নাম তালিকায় ছিল না।
আরো পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় ‘হল অব ফেম অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বাকৃবির সাবেক উপাচার্য
যবিপ্রবির শিক্ষার্থীর আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক অর্জন
নাট্যকলা বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মো. ইমাম হোসেন বলেন, “ছাত্রশিবির কাকে বৃত্তি দেবে, সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ থেকে কলা অনুষদের তিনটি বিভাগ বাদ দেওয়া নিন্দনীয়, এটা প্রকাশ্য বৈষম্য ও স্বল্পজ্ঞানের প্রমাণ। নাট্যকলা, সংগীত, ফিল্ম—এসব বিভাগও বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ। এগুলো বাদ দেওয়া সংস্কৃতিকে ছোট করে দেখার চেষ্টা।”
তিনি আরো বলেন, “যে কবি মতিউর রহমান মল্লিকের নামে পুরস্কার, তিনি নিজেই ছিলেন সংস্কৃতিমনা কবি ও গীতিকার। তার নামের সঙ্গে এমন বর্জন বেমানান।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংগীত বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, “যদি সত্যিই মেধার ভিত্তিতে পুরস্কার দেওয়া হয়, তাহলে সেটা সব বিভাগের শিক্ষার্থীর প্রাপ্য। আমাদের বিভাগগুলোকে কেন বাদ দেওয়া হলো, জানতে চাই। আশা করি, শিক্ষক ও বিভাগীয় কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।”
নাট্যকলা বিভাগের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেরিন চাকমা বলেন, “আমাদের আবর্তনের স্নাতক পরীক্ষা এখনো শেষ হয়নি—এটা যুক্তিযুক্ত কারণ হতে পারে। তবে আয়োজকরা বিভাগগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কি না, সেটাও প্রশ্ন। যদি যোগাযোগ না করে থাকে, তাহলে সিদ্ধান্তটা এককেন্দ্রিক মনে হয়। অথচ অন্য বিভাগগুলোর ক্ষেত্রে যোগাযোগ করা হলে সেটা উদারতার পরিচয় দিত। যদি বিশেষায়িত বিভাগগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়ে থাকে, তবে সেটা স্পষ্ট বৈষম্য। এর দায় সংগঠনটির ওপরই বর্তাবে।”
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ১৫তম আবর্তনের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমি সর্বশেষ ৭ম সেমিস্টারের ফলাফলে প্রথম হয়েছিলাম। কিন্তু এই মেরিট অ্যাওয়ার্ডের বিষয়ে জানতে পারি অনুষ্ঠান হওয়ার পর ব্যানার দেখে। আমাদের বিভাগের কারো সঙ্গেই যোগাযোগ করা হয়নি। বিষয়টি জানতে পেরে আক্ষেপ হয়েছে।”
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম আরিফ বলেন, “আমরা খুব স্বল্প সময়ে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছি। কন্ট্রোলারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের অনেকগুলোই ভুল ছিল। তবুও আমরা রেজিস্ট্রেশন চালু রেখে বিভাগগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি।”
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আরো বলেন, “দুই-একটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, এজন্য আমরা দুঃখিত। তবে যারা রেজিস্ট্রেশন করেছে, সবাইকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এখনো যেসব যোগ্য শিক্ষার্থী পুরস্কার পাননি, তারা রেজিস্ট্রেশন করলে আমরা তাদেরও সম্মাননা প্রদান করব।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী