সংকট নেই, তবু বন্ধ সিইউএফএলে গ্যাস সরবরাহ
Published: 11th, April 2025 GMT
সংকট না থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানির লিমিটেডে (সিইউএফএল) হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে কর্ণফুলী গ্যাস ড্রিস্টিবিউশন লিমিটেড। ফলে বন্ধ হয়েছে সিইউএফএলের সার উৎপাদন। এতে দৈনিক ৩ কোটি টাকার সার উৎপাদন ব্যাহত হবে বলে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) পরিচালনাধীন এ কারখানা। তবে দেশীয় কারখানাটিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করলেও গ্যাস সরবরাহ সচল রেখেছে বিদেশি বিনিয়োগের কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির লিমিটেডে (কাফকো)।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) নির্দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমিনুর রহমান। তিনি জানান, বিসিআইসিসির নির্দেশনা মোতাবেক সার কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়। গ্যাস সংকটে সিইউএফএলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়নি। বিসিআইসিসির নির্দেশ বন্ধ করা হয়েছে। আবার চালু করার সিদ্ধান্ত জানালে চালু করা হবে।
জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার গ্যাস বিতরণ প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) থেকে ইউরিয়া উৎপাদনে গ্যাস নেয় সিইউএফএল। সিইউএফএলে দৈনিক ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেওয়া হয়। অপরদিকে কাফকোকে দেওয়া হয় ৪২ থেকে ৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট।
কারখানার উৎপাদন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান সমকালকে বলেন, আজ সকাল ৬টা থেকে কারখানায় হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কারণে সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। উৎপাদন বন্ধ থাকলে দৈনিক তিন কোটি টাকার সার উৎপাদন ব্যাহত হয়।
কি কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড জানাতে পারবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর জাপানের কারিগরি সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়ায় সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সচল থাকলে দৈনিক এক হাজার ৭০০ মেট্রিকটন সার উৎপাদিত হয় কারখানাটিতে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ইউএফএল স র উৎপ দ ব স আইস ব উশন
এছাড়াও পড়ুন:
বিদ্যুৎ না থাকায় ডিইপিজেডে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) আজ সোমবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দুপুরের পর ডিইপিজেডের সব কারখানায় শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ডিইপিজেডের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড পাওয়ারের ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্পটিতে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে তারা উৎপাদন করতে না পারায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে ডিইপিজেডে প্রায় ৯০টি কারখানার এক লাখের মতো শ্রমিককে ছুটি দেওয়া হয়।
বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে উল্লেখ করে মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার যদি এটি অব্যাহত থাকে, তবে সংকট আরও বাড়বে। শ্রমিকেরা কাজ না করতে পেরে বিক্ষুব্ধ হলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠবে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া এ ধরনের ঘটনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘তিতাস বলছে, ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে বিল বকেয়া রয়েছে। তারা বকেয়া পরিশোধ করেনি। এ ব্যাপারে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে, বেপজাকে কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ধরনের পদক্ষেপের আগে ডিইপিজেডের গুরুত্ব বিবেচনা করে আলোচনার মধ্য দিয়ে বিষয়টির সমাধান করা উচিত ছিল।’
এ বিষয়ে ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক মো. মমতাজ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্যাসের কোনো প্রেশার নেই। প্রেশার শূন্য। কিন্তু কেন তিতাস কর্তৃপক্ষ এমনটি করল, সে ব্যাপারে এখানকার (আশুলিয়া অঞ্চলের) তিতাসের লোকজন কিছু বলতে পারেননি। আমরা নিজেরাও বিষয়টি নিয়ে জানি না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে, বকেয়া নিয়ে কোনো ধরনের মামলা নেই। তিতাস কেন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিল, সেটি জানা নেই।’
জানতে চাইলে তিতাসের আশুলিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের বিল বকেয়া থাকায় গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্ত। দুপুরের দিকে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।