রাজশাহীতে দুই বছরের শিশু ৩০ ফুট গভীর গর্তে, ফায়ার সার্ভিস অক্সিজেন দিচ্ছে
Published: 10th, December 2025 GMT
গর্তটি প্রায় ৩০–৩৫ ফুট গভীর। গর্তটি মূলত গভীর নলকূপের। সেটি এখন নেই। কিন্তু রয়ে গেছে গর্ত। সেই গর্তে পড়ে গেছে দুই বছরের শিশু সাজিদ। কীভাবে শিশুটি পড়েছে, তা কেউ বলতে পারছে না। শিশুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
বুধবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর তানোরে। শিশুটির নাম সাজিদ। বাবার নাম রাকিব। বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গর্তের ভেতরে অক্সিজেন সরবরাহ শুরু করেছেন। বিকেল চারটার দিকেও তাঁরা বলছেন, শিশুটির সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিলামে ২০২ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৩টি ব্যাংক থেকে নিলামে ২০২ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনার কারণে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর ) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণেই রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে বাজার থেকেই ডলার কিনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে ২০২ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে। নিলামের বিনিময় হার ছিল ১২২ টাকা ২৯ পয়সা পর্যন্ত। এই প্রাইসে ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিলামে ডলার কেনার ফলে বাজারে তারল্য বাড়ছে, রিজার্ভে যোগ হচ্ছে নিলামে কেনা ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট দুই হাজার ৫১৪ মিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছে। এসব ডলার দেশের ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১০ দফা ডলার কিনেছে। এর মধ্যে সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর ৬টি ব্যাংক থেকে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ বাড়ায় ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, চাহিদা কমেছে। এ কারণে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। ডলারের দাম আরও কমে গেলে রপ্তানিকারকরা একদিকে সমস্যায় পড়বেন, অপরদিকে রেমিট্যান্স আয় বৈধ পথে আসা কমে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনার পর ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারণে নতুন পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন থেকে ব্যাংক ও গ্রাহক নিজেরাই ডলারের দর নির্ধারণ করছে।
ঢাকা/নাজমুল//