প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়া গেলেন গবির ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
Published: 12th, April 2025 GMT
দেশে ভেটেরিনারি পড়ুয়া কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথমবারের মতো ইন্টার্নশিপের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় গেছেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের নবম ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসক।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে করে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্য দেশ ছেড়েছে শিক্ষার্থীরা। মালয়েশিয়ার খ্যাতনামা ‘ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া কেলান্টানে’ নবম ব্যাচের মোট ছয়জন শিক্ষার্থী ১৫ দিন ইন্টার্ন করবে। তবে সময়সীমা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
ইন্টার্ন চিকিৎসক মো.
অনুষদটির অধিকর্তা অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, “ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া কেলান্টান অনেক পুরাতন একটি বিশ্ববিদ্যালয়। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ সেখানে শিক্ষকতা করেছি। দেশের অভ্যন্তরে ইন্টার্নশিপের পাশাপাশি বিদেশে ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা ওই দেশের ভেটেরিনারি পেশা সম্পর্কে জ্ঞান ও তাদের সাংস্কৃতি অনুধাবন করতে পারবে। বিদেশের আধুনিক প্রযুক্তি ও কীভাবে তারা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে, তা জানতে পারবে।”
তিনি বলেন, “আশা করি, বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভেটেরিনারি সেবা দিতে পারবে। মালয়েশিয়ায় ইন্টার্নিশিপে যাওয়ার মাধ্যমে আমাদের অনুষদ সফলতার পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল বলে আমি বিশ্বাস করি।”
ইন্টার্নশিপের বিষয়ে নেপাল, মালয়েশিয়া ছাড়াও জাপান ও অস্ট্রেলিয়াতেও যোগাযোগ চলছে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, নবম ব্যাচের আরও ১৩ জন শিক্ষার্থী আগামী ২০ এপ্রিল (রবিবার) ইন্টার্নশিপে নেপালের অ্যাগ্রিকালচার এবং ফরেস্টি ইউনিভার্সিটিতে যাবেন। এর আগে পঞ্চম ব্যাচের মোট ২৫ জন শিক্ষার্থী নেপালের খ্যাতনামা ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও অষ্টম ব্যাচের অ্যাগ্রিকালচার এবং ফরেস্টি ইউনিভার্সিটিতে ২১ জন শিক্ষার্থী ইন্টার্নশিপে গিয়েছিলেন।
২০১৬ সালের মে মাসে দেশের প্রথম ও একমাত্র বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গবিতে ভেটেরিনারি শিক্ষা শুরু হয়। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) মাত্র ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেয়। তবে পরে আসন সংখ্যা ৫০-এ উন্নীত হয়। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আটটি ব্যাচ স্নাতক সম্পন্ন করেছে।
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন শ ক ষ র থ ইউন ভ র স ট ইন ট র ন আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া
ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।
অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।
এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।
দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।
২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার