বৈশাখী পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে সূচিশিল্প
Published: 13th, April 2025 GMT
বরাবরের মতো এবারও বৈশাখে শাড়ি, ফতুয়া,পাঞ্জাবি, বেবি ড্রেসের চাহিদা বেশি রয়েছে। এই গরমে আরামকে প্রাধান্য দিয়ে তাঁত ফেব্রিকস ও ভয়েল কাপড়কে প্রাধান্য দিয়েছে ছোট বড় ফ্যাশন হাউসগুলো। সূচিশিল্পকে এগিয়ে রেখেছেন অনেক উদ্যোক্তা। অনলাইন এবং অফলাইন ভিত্তিক উদ্যোগ আদ্রিল’স কালেকশন্স। এই ফ্যাশন হাউসের স্বত্বাধিকারী রীতা মন্ডল রাইজিংবিডিকে বলেন, সূচিশিল্পের চাহিদা বেড়েছে। নানা রঙের পোশাকে সূচিশিল্প ফুটিয়ে তুলেছে আদ্রিল’স কালেকশন্স।
সূচিশিল্পের পোশাকে ঐতিহ্য ফুটে ওঠে। প্রাধান্য পায় বাংলার চিরচেনা মোটিফ। দক্ষ হাতে এই মোটিফ পোশাকের জমিনে ফুটিয়ে তোলেন সূচিশিল্পীরা। এই কাজ বেশ সময় সাপেক্ষ। ফলে সূচিশিল্পের পোশাকের দরদামও একটু বেশিই রাখা হয়।
আরো পড়ুন:
কদর বেড়েছে কাপড়ের গয়নার
শিশুর গলায় কিছু আটকে গেলে দ্রুত দুইটি কাজ করতে পারেন
রিতা মন্ডল জানান, সূচিশিল্পের একটি শাড়ির দাম শুরু হয় ৪,৭০০টাকা থেকে। ১০,০০০টাকা পর্যন্তও হয়ে থাকে এক একটি শাড়ির দাম। তবে অন্য পোশাকের দাম তুলনামূলক কম।
পহেলা বৈশাখের দিন এই উদ্যোক্তা সুতি জমিনে সূচিশিল্পের শাড়ি পরবেন বলে জানান।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’