বরাবরের মতো এবারও বৈশাখে শাড়ি, ফতুয়া,পাঞ্জাবি, বেবি ড্রেসের চাহিদা বেশি রয়েছে। এই গরমে আরামকে প্রাধান্য দিয়ে তাঁত ফেব্রিকস ও ভয়েল কাপড়কে প্রাধান্য দিয়েছে ছোট বড় ফ্যাশন হাউসগুলো। সূচিশিল্পকে এগিয়ে রেখেছেন অনেক উদ্যোক্তা। অনলাইন এবং অফলাইন ভিত্তিক উদ্যোগ আদ্রিল’স কালেকশন্স। এই ফ্যাশন হাউসের স্বত্বাধিকারী রীতা মন্ডল রাইজিংবিডিকে বলেন, সূচিশিল্পের চাহিদা বেড়েছে। নানা রঙের পোশাকে সূচিশিল্প ফুটিয়ে তুলেছে আদ্রিল’স কালেকশন্স।

সূচিশিল্পের পোশাকে ঐতিহ্য ফুটে ওঠে। প্রাধান্য পায় বাংলার চিরচেনা মোটিফ। দক্ষ হাতে এই মোটিফ পোশাকের জমিনে ফুটিয়ে তোলেন সূচিশিল্পীরা। এই কাজ বেশ সময় সাপেক্ষ। ফলে সূচিশিল্পের পোশাকের দরদামও একটু বেশিই রাখা হয়। 

আরো পড়ুন:

কদর বেড়েছে কাপড়ের গয়নার

শিশুর গলায় কিছু আটকে গেলে দ্রুত দুইটি কাজ করতে পারেন

রিতা মন্ডল জানান, সূচিশিল্পের একটি শাড়ির দাম শুরু হয় ৪,৭০০টাকা থেকে। ১০,০০০টাকা পর্যন্তও হয়ে থাকে এক একটি শাড়ির দাম। তবে অন্য পোশাকের দাম তুলনামূলক কম।

পহেলা বৈশাখের দিন এই উদ্যোক্তা সুতি জমিনে সূচিশিল্পের শাড়ি পরবেন বলে জানান।
 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ে বিবাহবিচ্ছেদের চার দিনের মাথায় লাউখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার

পঞ্চগড়ে স্বামীর মৃত্যুর দুই বছর পর সন্তানদের রেখে গোপনে বিয়ে করে ঘর ছেড়েছিলেন এক নারী। দ্বিতীয় বিয়ের প্রায় এক মাস পর বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এ ঘটনার চার দিনের মাথায় বাড়ির পাশের লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের ধামোর মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাম তানজিনা আক্তার (৩৫)। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানজিনার দ্বিতীয় স্বামী মিনাল হোসেনের বাবা দিলু হোসেনকে (৫৫) হেফাজতে নিয়েছে আটোয়ারী থানার পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, তানজিনা আক্তারের প্রথম স্বামী মজিবর রহমান প্রায় দুই বছর আগে মারা যান। তাঁদের দুটি ছেলে আছে। এর মধ্যে প্রায় এক মাস আগে স্থানীয় যুবক মিনাল হোসেনকে (২৭) গোপনে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। এর পর থেকেই মিনালকে ছেড়ে দিতে তানজিনার ওপর চাপ দিতে থাকে মিনালের পরিবার। গত ৩০ অক্টোবর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকেই মিনালকে এলাকায় দেখা যায়নি।

পুলিশ জানায়, আজ সকালে ধামোর-মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেতে কয়েকজন লাউ তুলতে গিয়ে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। এ সময় স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশটি তানজিনার বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে বারঘাটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও আটোয়ারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সরকার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ