জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে কনসার্ট শুরু হয়েছে। পয়লা বৈশাখের দিন আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বান্দরবানের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর গানের দল বেসিক গিটার লার্নিং স্কুলের খুদে শিল্পীদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এ কনসার্ট শুরু হয়েছে।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এ কনসার্ট ও ড্রোন শোর আয়োজন করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে চীনা দূতাবাস। অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

শুরুতেই পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমা জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান ও ঐতিহ্যবাহী নববর্ষ উৎসব সাংগ্রাইয়ের একটি গান পরিবেশন করে বেসিক গিটার লার্নিং স্কুলের খুদে শিল্পীরা। পরে তারা ‘মন কী যে চায় বলো, যারে দেখি লাগে ভালো’ গানটি পরিবেশন করে।

এরপর মঞ্চে ওঠেন রাফি অ্যান্ড রকারস (আর অ্যান্ড আর) ব্যান্ড দলের সদস্যরা। তারা ‘গুরু ঘর বানাইলা কী দিয়া’, ‘সুন্দরী চলেছে একা পথে’র মতো দর্শকপ্রিয় কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। পরে কণ্ঠশিল্পী পারসাসহ কয়েকজন শিল্পী সম্মিলিত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি পরিবেশন করেন।

কনসার্টে সাড়ে চারটার দিকে মঞ্চে ওঠেন মিঠুন চক্র ও জালাল আহমেদ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে এফ মাইনর, আতিয়া আনিসা, ইসলাম উদ্দিন পালাকার, আরজ আলী ওস্তাদ, সাগর দেওয়ান, পারসা, অ্যাশেস ব্যান্ড ও জাহিদ নিরবের অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ড্রোন শো হবে সন্ধ্যা সাতটায়।

আরও পড়ুনমানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ড্রোন শো ও কনসার্টে যা থাকছে১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কনস র ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা