ফরিদপুরে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, বৃদ্ধের জিহ্বা কেটে হত্যা
Published: 15th, April 2025 GMT
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এক বৃদ্ধের জিহ্বা কেটে নৃশংসভাবে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার দুই দিন পর মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত মো. আব্দুল হালিম মোল্লা (৬১) আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় বাজারে নাইটগার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মৃত আবু সাঈদ মোল্লার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাওনা টাকা আদায়ের বিষয়ে শনিবার বিকেলে উপজেলার হলদঞ্চি গ্রামের মজিবুর, শান্ত, লালটু, মজব্বির ও আনোয়ারের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হন আব্দুল হালিম। পরে রাত আনুমানিক তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা তাকে ধরে জিহ্বা কেটে মাহবুবের বাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
রবিবার সকালে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা জানান, ধার নেওয়া টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এমন নির্মম ঘটনা ঘটেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় জিহ্বা কাটা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল, তখনো তিনি জীবিত ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ জানান, খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আর্থিক লেনদেনের কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য আলফ ড ঙ গ অবস থ য়
এছাড়াও পড়ুন:
১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কেরানীগঞ্জে বহুতল ভবনের আগুন
ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগরে জমেলা টাওয়ারে লাগা আগুন ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট। আগুন লাগা ভবনে আটকেপড়া ৪৫ জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস৷
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের ডাইরেক্টর (অপারেশন) তাইজুল ইসলাম। এর আগে, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ১২ তলা ওই ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে।
আরো পড়ুন:
কৃষিজমি ক্ষতির শঙ্কায় ভেকুসহ মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ
সুনামগঞ্জে আগুনে পুড়ল ৭ ঘর
তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘‘আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। পরে আরো ১০টি ইউনিট যুক্ত হয়। বর্তমানে ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে আটকে পড়া ৪৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘ভবনের ভেতরে বিপুল পরিমাণ দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবিবার পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে অতিরিক্ত ইউনিট মোতায়েন করা হবে এবং আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’’
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘এখনই সূত্রপাত বলা যাবে না, আগে আগুন নিয়ন্ত্রণ করব, তারপর সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।’’
ঢাকা/শিপন/রাজীব