সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
Published: 15th, April 2025 GMT
দেশের সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম ছিল নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবুর নামে। বাকি দুটির মধ্যে একটির নাম বঙ্গবন্ধুর নামে ও আরেকটির নাম যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির নামে।
এই সাত বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ৮ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
যেসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদরের ১৭৫ নম্বর হাতিকাটা শেখ মনি জ্ঞানেন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নাম করা হয়েছে ১৭৫ নম্বর জ্ঞানেন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার নোয়াদ্দা নজরুল ইসলাম বাবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম নোয়াদ্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরলক্ষ্মীপুর নজরুল ইসলাম বাবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম চরলক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গিরদা চৌধুরীপাড়া আলহাজ নজরুল ইসলাম বাবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম গিরদা চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাল্লা আলহাজ নজরুল ইসলাম বাবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দক্ষিণ বালিয়াপাড়া নজরুল ইসলাম বাবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম দক্ষিণ বালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ সদরের বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম বত্রিশ নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম ব ব সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।