কক্সবাজারগামী ট্রেন প্রবাল এক্সপ্রেসে চলন্ত অবস্থায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনে আগুন লাগার খবরে আতঙ্কিত হয়ে এক দম্পতি তাঁদের এক ছেলেশিশুসহ লাফ দেন। এ ঘটনায় মো. হামদান নামের ৮ মাস বয়সী ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুর মা-বাবা।

আজ মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে রেললাইনের লোহাগাড়া উপজেলা অংশে এ ঘটনা ঘটে। লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক জাহেদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনজনকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক শিমুল দত্ত বলেন, শিশুটি হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। আহত দম্পতিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহতরা হলেন কক্সবাজার জেলার পিএমখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক (২৪) ও তাঁর স্ত্রী লিজা আক্তার (১৮)। ঈদের ছুটি শেষে আবদুর রাজ্জাক বাঁশখালী উপজেলার গুনগরীতে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে সাতকানিয়া রেলস্টেশন হয়ে কক্সবাজারে ফিরছিলেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ট্রেনের যাত্রী হুমায়ুন কবির বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী ট্রেনটি বিরতির পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাতকানিয়া স্টেশন ছেড়ে যায়। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া এলাকায় ট্রেনের ‘ড’ বগিতে আগুন লাগে। আগুন লাগার খবরে যাত্রীরা চিৎকার করে বাঁচার আকুতি জানাতে থাকেন। এতে পুরো ট্রেনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ট্রেনের সামনের দিকে থাকা এক দম্পতি তাঁদের কোলের শিশুসন্তানসহ দরজা দিয়ে লাফ দেন। এতে তাঁরা গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

লোহাগাড়া স্টেশনমাস্টার দিদার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ট্রেনের একটি বগিতে আগুন লাগে। এ সময় বগিতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে নিভিয়ে ফেলা হয়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রবাল এক্সপ্রেস প্রতিদিন চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যায়। তবে আজ প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল আতঙ ক

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটারজুটে যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমশার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান উল্টে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ যানজট দেখা দেয়। 

হাইওয়ে পুলিশ  জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে মহাসড়কে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ফেনী থেকে রেকার এনে কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধারের কাজ শুরু করে পুলিশ। 

সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে। 

ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের চালক রমিজ উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে বুড়িচংয়ের নিমশার বাজারে যানজটে এক ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। ৫ মিনিট গাড়ি চললে ২০ মিনিট বসে থাকতে হয়। এভাবে ১০টা ৪০ মিনিটে চান্দিনায় পৌঁছেছি। এ সময়ে ঢাকার কাছাকাছি থাকার কথা ছিল। 

নিমশার বাজারে আটকে থাকা প্রাইভেট কারের যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে যানজট অথচ সড়কে হাইওয়ে পুলিশ দেখছি না। 

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, মহাসড়কের নূরীতলা এলাকায় উল্টে কাভার্ড ভ্যানটি আড়াআড়িভাবে পড়ে ছিল। পরে ঢাকামুখী লেনের বেশ কিছু গাড়ি উল্টো পথে ঢোকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফেনী থেকে ক্রেন এনে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। 

হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণেই যানজট দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ