ম্যাচশেষে বার্সেলোনা ম্যানেজার হান্সি ফ্লিক বলেন, “আজ আমাদের সেরা রাত ছিল না, তবুও আমাদের খুশি হওয়ার কারণ আছে। আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফানেলে উঠে গিয়েছি।” কাতালান জায়ান্টদের জার্মান কোচের এমন খুশি হওয়াটা স্বাভাবিক। যে লক্ষ্য নিয়ে তাঁকে ক্লাবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই পথে গুঁড়িগুঁড়ি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ৩-১ গোলে হেরেও শেষ চারে বার্সেলোনা। প্রথম লেগটা ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ৪-০ ব্যবধানে জয়ের সুবাদে ৫-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ হাসিটা রবার্ট লেভানডভস্কি-রাফিনহাদের। সুদীর্ঘ ৬ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে বার্সা।
সিগনাল ইদুনা পার্কে ম্যাচের শুরু থেকেই বার্সাকে বড় ঝড়ই সামাল দিতে হয়েছে। ম্যাচের ১১ মিনিটেই গোলকিপার ভয়েচেক সেজনির ফাউলের কারণে পেনাল্টির পায় স্বাগতিক ডর্টমুন্ড। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি সেরহু গিরাসি। ইউলো সামুরাইদের জন্য আক্রমণ করাটা সহজ ছিল না, তবে এরপরও প্রথামার্ধে তারাই একচেটিয়া খেলল।
আরো পড়ুন:
বার্সার বিপক্ষে ফিরতি লেগে ডর্টমুন্ড কোচের প্রেরণা লিভারপুল
‘ডার ক্লাসিকেরে’ বায়ার্নকে রুখে দিয়েছে ডর্টমুন্ড
ডর্টমুন্ড আক্রমণের ধারা বজায় রেখেছিল বিরতির পরও। ৪৯তম মিনিটে দারুণ এক অক্রমণে রামি বেনসেবাইনির হেড পাস থেকে হেডেই গোল পেয়ে যান গিরাসি। তবে মিনিট চারেক পরেই একটি গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। তাতেই দুই লেগের অগ্রিগেট দাঁড়ায় ৫-২। ফারমিন লোপেজের বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল ঠেলে দেন প্রথমার্ধে বার্সাকে সবচেয়ে বেশি ভোগানো রামি।
ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে রোনাল্দ আরাউহো বল গিরাসির পায়ে তুলে দিলে সহজেই জালে জড়িয়ে দেন এই স্ট্রাইকার। পূর্ণ হয় এই গিনিয়ানের হ্যাটট্রিক। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি তাঁর ১৩ নম্বর গোল।
ম্যাচটা শেষ হয় ৩-১ গোলে। ২৪টি ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর অবশেষে হারল বার্সেলোনা। তবুও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে এগিয়ে থেকে সেমিতে তারা।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ চ য ম প য়নস ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।